শিশুটির মাথায় ৫ টি সেলাই ডান চোখ নষ্টের পথে
আরো পড়ুন:
আমোদ প্রতিনিধি।।
পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ২২ মাস বয়সী শিশু আবদুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে শনিবারও শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির মাথায় ও চোখে ৫ টি সেলাই লেগেছে। তার ডান চোখটি এখনো শংকামুক্ত নয়।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটির চারটি দাত ভেঙ্গে গেছে, কপালে ও মাথায় কোপ লেগেছে। এতে পাঁচটি সেলাই লেগেছে। এর মধ্যে ডান চোখটি এখনো শংকামুক্ত নয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটির মা রুজিনা আক্তার বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় নজরুল ইসলামকে প্রধান করে ১৩ জনের নামোল্লেখ একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শিশুটির চাচী জোস্না বেগম জানান, একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে সন্ত্রাসীরা দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার দেবর শাহীন প্রাণভয়ে বিল্ডিংয়ের ভিতর লুকিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখে। সন্ত্রাসীরা শাহীনকে না পেয়ে বাড়ীর গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুধের শিশু আব্দুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করে।
শিশুটির পিতা শাহীন আলম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এর আগেও বহুবার হামলা করেছে তারা। এ নিয়ে শালিক বৈঠক হয়েছে অনেক।
গত ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বাড়ীতে দৈনন্দিন কাজ কর্ম করছিলাম। হঠাৎ করে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। আমার ছেলেটা বাড়ির গেইটে দাড়িয়ে থাকে। তারা আমার ছেলেকে দা দিয়ে কোপ দেয়। লাঠি দিয়ে পেটায়। পরে আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকে আমার স্ত্রী রোজিনা আক্তার, বোন রেহানা বেগম, ভাগ্নি সোনিয়া, ভাই ফোরকান, চাচাতো বোন জামিনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে।
শাহীন আরো জানান- ১১ মাস আগে তারা আমাকে মারার জন্য হামলা করেন। তারা গুলি চালায়। তখন নিশানা ঠিক রাখেতে পারেনি বলে আমি বেঁচে যাই।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর ওরা পালিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত নজরুল, আল ইসলাম, শুভ। এরা মাদক, চুরিসহ নানা অপকর্মে জড়িত।
শনিবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন । আসামিরা পলাতক রয়েছে । আটক অভিযান অব্যাহত।