সতীনকে দানপত্র করা জমির জন্য দেবরের বিরুদ্ধে মামলা!

 

সতীনকে দানপত্র করা জমির জন্য দেবরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বড় ভাইয়ের ২য় স্ত্রী। ঘটনাটি কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার হরিপুর গ্রামের। ওই দেবর আবু বকর মজুমদার। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার বাইয়ারা জয়নাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি সোমবার কুমিল্লা টাউনহল মুক্তিযোদ্ধা কর্নারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক আবু বকর মজুমদার জানান, তার বড় ভাই আবদুল কুদ্দুস প্রথম স্ত্রীকে ১৯৮৭ সালে ১৮ শতক জমি দানপত্র করে দেন। আবদুল কুদ্দুসের প্রথম সংসারে দুই মেয়ে এক ছেলে। ১৯৮৯ সালে আবদুল কুদ্দুস দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আফরোজা বেগম। দ্বিতীয় সংসারে ফাহাদ রানা পলাশ নামে এক সন্তান রয়েছে। গত ২০০৪ সালে আবদুল কুদ্দুস মারা যান।

আবু বকর মজুমদার আরো বলেন, আমার ভাই মারা যাওয়ার পরে তার পরিবারের দায়িত্ব পড়ে আমার উপর। বড় ভাইয়ের সম্পত্তি, তার দুই স্ত্রী ও সন্তানদের মাঝে বন্টন করার সময় প্রথম স্ত্রীকে দান করা ১৮ শতক জমি নিয়ে বিরোধ হয়। গত কয়েক দিন আগে আবদুল কুদ্দুসের দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা বেগম প্রথম স্ত্রীর দানপত্রের জমিতে ধান চাষ করতে গেলে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা বেগমের বড় ভাই বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় আমাকে প্রধান আসামি, আমার ভাইয়ের প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে নারগিছ আক্তার, নাছরিন আক্তার ও নাছরিনের স্বামী কামরুল হাসানের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগের বিষয়ে আফরোজা বেগম বলেন, ফোনে কথা বলা যাবে না। সাক্ষাতে বিস্তারিত বলবেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানা উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান জানান, গত ৪ জুলাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয় আফরোজা বেগমকে তার দেবর আবু বকর মজুমদার, তার সতীনের মেয়ে নারগিছ আক্তার, নাছরিন আক্তার ও নাছরিনের স্বামী কামরুল হাসান হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টির তদন্ত চলছে।