অগ্নিদগ্ধ শিশু সন্তান নিয়ে দিশেহারা বাবা

 কুদরত উল্যাহ,মনোহরগঞ্জ ।।
কুমিল্লার মনোরহগঞ্জ উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  অগ্নিদগ্ধ শিশু মোসাম্মত হালিমা আক্তারকে (১২) নিয়ে বাবা হুমায়ুন হাসপাতলে ডাক্তারের খোঁজে দিশেহারা।  শনিবার দুপুর আনুমানিক ১টা থেকে ২টার সময় শাকতলা গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুনের মেয়ে বাড়িতে রান্নাঘরের ল্যাম্পের আগুন কাপড়ে লেগে গিয়ে শরীর দগ্ধ হয়। তাৎক্ষনিক মনোহরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। অনেকক্ষণ পর রোগীর অভিভাবকদের চিৎকার শুনে হাসপাতালের বা্ইর থেকে ইলেক্ট্রিশিয়ান মাইনুদ্দিন  এসে জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রেশন খাতায় রোগীর নাম রেজিস্ট্রেশন করেন।
ঐ সময় মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাবের  আহবায়ক সাংবাদিক আবদুর রহিম সংগঠনের সদস্য সাংবাদিক হাসানের ভ্যাক্সিনের অনলাইন আবেদন করতে গেলে দেখেন পুরো হাসপাতাল জুড়ে কোন ডাক্তার, নার্স ও অফিস কর্মকর্তা সহ কেউই কর্মস্থলে নেই। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় হাসপাতালের ডাক্তার এম এ রায়হান রাশেদের উপজেলা হাসপাতালের পাশে তার বাড়ি হওয়ায় সত্ত্বেওতিনি হাসপাতালে উপস্থিত না থেকে প্রাইভেট হাসপাতালে সকাল ১০টার পর থেকে রোগী দেখতে দেখা যায়। হাসপাতাল গুলো হল মেডিনোভা মেডিকেল সেন্টার, ফি আমানিল্লাহ হাসপাতাল, ফেয়ার মেডিকাল সেন্টার। এই সকল সেন্টারে প্রয়োজন ছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম করে গরিব ও নিরীহ রোগীদের হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে। বিশেষ সূত্রে জানা যায় মেডিনোভা মেডিকেল সেণ্টারে তার শেয়ার রয়েছে। ওই সেন্টারের নিকটে তার আত্মীয় দ্বারা পরিচালিত একটি ফার্মেসি রয়েছে।
ডাক্তার শামীম হোসেন একজন ইউনিয়ন সাব-সেন্টারের দায়িত্বশীল, কিন্তু তিনি প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগী দেখেন। হাসপাতাল গেটে সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি তার নিজ দায়িত্বে পরিচালনা করেন। রোগী আসা মাত্রই ব্যবস্থাপত্রে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে তার নিজস্ব সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। হাসপাতালে তার দায়িত্বে  রৌশোনারাসহ কয়েকজন মহিল দালাল রাখেন তিনি। তাদের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য রোগীদেরকে তার সেবা সেন্টারে পাঠান। এছাড়াও তার নিজ গ্রাম কেয়ারিতে আলি আশ্রাফ মুন্সি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে সেখানে তিনি রোগী দেখেন।
সরকারি হাসপাতালে ২০-২৫ জন ডাক্তার নার্স অফিস কর্মকর্তা পিয়ন আয়া নিয়োগ থাকলেও কর্মস্থলে উপস্থিত থাকছেন না ।
 ডাক্তার না থাকার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা  বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।