অসুস্থ মানুষ আর বিপন্ন প্রকৃতিকে সারিয়ে তোলার সংগ্রাম

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রপচারের জন্য প্রস্তুত রোগী। প্রস্তুত সার্জারি বিশেষজ্ঞ। প্রয়োজন অ্যানেসথেশিয়া। সেই কাজটি দরদ দিয়ে করেন ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম।
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। দিন দিন বিপন্ন হচ্ছে। আবু নাঈম জানলেন সাগর লতা গাছ দ্বীপের বালিয়াড়ি বাড়াতে সাহায্য করে। সাগরলতার শিকড় আঁকড়ে বাড়বে ভূমি। তাই সেখানে গাছের ক্যারেট নিয়ে ছুটলেন। কুমিল্লার গাছ নদী সাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছালো সেন্টমার্টিনে। প্রথমবারের মতো সেখানে অনুষ্ঠিত হলো বৃক্ষ উৎসব। সেন্টমার্টিন বি এন ইসলামিক স্কুল এন্ড কলেজে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বৃক্ষ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে শিক্ষার্থীদের সহস্রাধিক গাছ উপহার দেয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছে,আম,কাঁঠাল, করমচা , অর্জুন,অশোক, সোনালু,কৃষ্ণচূড়া, হিজল,সমুদ্রজবাসহ আরোও ৭ প্রজাতির শোভাবর্ধক গাছ। সাগর তটে রোপণ করা হয় সাগর লতা গাছ।
সেন্টমার্টিন বিএন স্কুলের অধ্যক্ষ শাহজালাল সরকার বলেন, সেন্টমার্টিনে সরকারি উদ্যোগে তেমন কোন আয়োজন হতে দেখিনি। এখানে এমন আয়োজন ব্যক্তি উদ্যোগে এই প্রথম। পরিবেশ রক্ষায় এমন আয়োজন সুন্দর ভাবনা।
ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম বলেন, আমরা এক যুগ ধরে বিনামূল্যে বীজ, কাটিং,চারা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ রোপণ, পরিবেশ সচেতনতায় জনমত তৈরি করা, দেশে নতুন বাগানি সৃষ্টি করছি। পাশাপাশি বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদ সংরক্ষণ করছি। এছাড়া কুমিল্লার অনলাইন ভিত্তিক কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির মাধ্যমে ছাদকৃষি, বাগান ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, আজকের শিশু কিশোররাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই বিভিন্ন স্কুল কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে গাছ তুলে দিচ্ছি। তারা নিজেরাই এই গাছ রোপণ করছে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গাছের যতœ তারাই নেবে।
ঢাকা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনের সময় ডা. নাঈমের কাজ দেখেছি। তিনি পরিবেশ, প্রকৃতি ও বৃক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রায় এক যুগ। প্রকৃতির কল্যাণে তার এই উদ্যোগ বেঁচে থাকুক।