‘অস্বচ্ছল মানুষের আইনি অধিকার নিশ্চিতে আন্তরিক হতে হবে’

আইনগত সহায়তা দিবসের সভায় জেলা ও দায়রা জজ

প্রতিবেদক।।
জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে অস্বচ্ছল মানুষের আইনি অধিকার নিশ্চিতে আইনজীবীদের আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। জাতীয় আাইনগত সহায়তা মানে এটি একটি সরকারি মহৎ উদ্যোগ। আমাদের সমাজে ন্যায় -অন্যায়ের চেয়ে জেদাজেদির মনোভাব বেশি। এ মনোভাব আমাদের পরিহার করতে হবে। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আপসের চিন্তা-ভাবনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বর্তমানে কুমিল্লায় ৭৮ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আপসের পদক্ষেপ বেশি গ্রহণ করলে বিচারকদের মামলার ভার কমবে। এখন আইসিটির যুগে হেল্প লাইনের মাধ্যমেও বিচার কার্যক্রম চালু হয়েছে। লিগ্যাল এইডের ব্যাপারে সাংবাদিকরাও প্রচার-প্রচারণা করছেন করছেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভালো কাজের সাথে আপনারা থাকবেন। আইনগত দীর্ঘসূত্রিতা থেকে রেহাই পেতে আপস-নিষ্পত্তির বিকল্প নেই। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল রেলি শেষে আদালত প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘ দ্বন্দ্বে কোনো আনন্দ নাই,আপস করো ভাই/ লিগ্যাল এইড আছে পাশে,কোনো চিন্তা নাই’ – এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এ সভায় বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইফুল মানিক, পিপি কাইমুল হক রিংকু । কাইমুল হক রিংকু বলেন, বিগত ১৭ বছর যাবত আমরা এ দিবসটি একজনের আধিপত্যে পালন করেছি।এ বছর আমরা মুক্তভাবে দিবসটি পালন করতে পারছি। তিনি আরও বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা থেকে রক্ষা পেতে ও সুবিচার নিশ্চিতে গ্রাম্য আদালতকে আরও বেশি কার্যক্ষম করতে হবে।
বক্তব্য রাখেন জিপি তারেক আবদুল্লাহ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সহিদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান। বক্তারা বলেন,অস্বচ্ছল মানুষের আইনি অধিকার নিশ্চিতে কম খরচে লিগ্যাল এইড কমিটির কমিটি কাজ করছে।রাষ্ট্রেরও কোনো ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে আইনের সংস্কার প্রয়োজন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব এসএম শেফায়েত ছালাম। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড কমিটিতে এ বছর ৬৬৮টি অভিযোগ এসেছে। এরমধ্যে ৩১৭ বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ৪১, ৭৮, ৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৭১৯ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
উপকার ভোগীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোসাম্মৎ সাজেদা বেগম।
সভার এক পর্যায়ে ২জন প্যানেল আইনজীবীকে পুরস্কার প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমান। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন এডভোকেট মোসাম্মৎ ফাহমিদা শিউলী ও এডভোকেট হারুনুর রশিদ।