অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নির্ধারণ চিঠি চালাচালিতে সীমাবদ্ধ
#অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট শক্ত, চেয়ারে থাকা কঠিন হবে–পরিচালক কুমেক
#কাজটি কঠিন। সকল পক্ষকে নিয়ে বসবো—সিভিল সার্জন
# চালকরা জিম্মি করে লাশের উপর দিয়ে টাকা নেয় —সনাক সভাপতি
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
রোগী ও নিহতের স্বজনদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। চালকের খারাপ ব্যবহার। সড়কে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে কুমিল্লায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণে জেলা প্রশাসকের(ডিসি) কার্যালয় থেকে সিভিল সার্জনকে(সিএস) চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত মে মাসের চিঠির বিষয়ে জুলাই মাস পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সিভিল সার্জন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সোনিয়া হক জানান, গত ২৫ মে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। পহেলা জুন জেলা প্রশাসকের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা থেকে সিভিল সার্জনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আর কোন আপডেট পাইনি।
সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অভিযোগ নতুন না। সরকারি প্রতিষ্ঠান কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা ভালো জানে। চালকরা জিম্মি করে লাশের উপর দিয়ে টাকা নেয়। তারা যা বলে, সেটা মানতে হবে। ফেনী জেলায় সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। কুমিল্লা হাসপাতালের শহর। এখানে কেনো যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা থাকবে না?
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার বলেন, ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় আমাদের লেট হচ্ছে। মালিক পক্ষ, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা সভা করবো। কাজটি কঠিন। সকল পক্ষকে নিয়ে বসবো।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের বলেন, বোর্ডের সামনে ও বোর্ড কলোনিতে অ্যাম্বুলেন্স না রাখার জন্য বারবার বলা হয়েছে। তারা কথা শোনে না। বিষয়টি প্রশাসনের চূড়া থেকে সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন হতে হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট অনেক শক্ত। সব কথা বলতে গেলে আমার চেয়ারে থাকা কঠিন হবে। আমার হাসপাতালে রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট লেখার আগে অ্যাম্বুলেন্সের লোকজন লাশ নিয়ে যেতে চায়। যদি সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাস্তবায়নে আমরা সহযোগিতা করবো।