ড্রাম স্টিক ঘুরিয়ে যেভাবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে কুবির তুষার

 

‘আঙুর ও কাঠ বাদাম খেয়ে প্র্যাকটিস করেছি। কিন্তু তেমন সফল হতে পারিনি।’
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) শিক্ষার্থী মো. ইরফান আনোয়ার তুষার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। হাতের আঙুলে সর্বোচ্চ বার ড্রাম স্টিক ঘুরিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২১ মার্চ ১ মিনিটে ১২৫ বার ড্রাম স্টিক ঘুরিয়ে পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন তুষার। এর আগে হাতের আঙুলে ১ মিনিটে সর্বোচ্চ ১০৪ বার ড্রাম স্টিক ঘোরানোর রেকর্ড ছিল।
ইরফান আনোয়ার তুষার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে। তুষারের বাবার নাম মো. কামাল হোসেন, মা হাছিনা বেগম। এই কৃতিত্বে তুষারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ইরফান আনোয়ার তুষার বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে কুবির কোন শিক্ষার্থীর নাম নেই। এটা আমাকে ভাবাতো। তাই এক মিনিটে আঙুর ও কাঠ বাদাম খেয়ে প্র্যাকটিস করেছি। কিন্তু তেমন সফল হতে পারিনি। এরকম বিভিন্ন বিষয়ে চেষ্টা করেছি। শেষে তাদের ওয়েব সাইট ঘেটে দেখলাম হাতের আঙুলে সর্বোচ্চ বার ড্রাম স্টিক ঘুরানোর বিষয়টি। বাজার থেকে ড্রাম স্টিক কিনে প্র্যাকটিস করা শুর করলাম। দেখলাম হচ্ছে। তাই ২০২৩সালের ২২জানুয়ারি আবেদন করি। অনুমতি পেয়ে ২১মার্চ কুবির ব্যাডমিন্টন কোর্টে ১ মিনিটে ১২৫ বার ড্রাম স্টিক ঘুরিয়ে পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছি। এই ভিডিও ছবি এবং সাক্ষীদের কমেন্ট ওই সংস্থায় পাঠাই। ৭জুলাই তারা আমাকে মেইলে স্বীকৃতি জানায়। এক মাস পর সনদ পাঠাবে।
তিনি আরো বলেন,আমার এই অর্জনে শিক্ষক,অভিভাবক ও বন্ধুরা আনন্দিত। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করতে পেরে আমিও খুশি।
কুবির জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, মো. ইরফান আনোয়ার তুষারের সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করেছেন। শিক্ষা ও গবেষণাসহ সব ক্ষেত্রে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। এতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। তাদের প্রচেষ্টা আমাদের গর্বিত করে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য।