আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত থাকলে তাকেও গ্রেপ্তার করতে হবে:গণপূর্ত মন্ত্রী

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মন্ত্রীত্ব কোনো বড় বিষয় নয়, দেশের জন্য কাজ করাই বড় কথা। আমার উপর অর্পিত দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। শহরে ও গ্রামে অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প বন্ধ করা হবে। পরিকল্পিত নগরায়ণ-গ্রামায়ণ গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রদত্ত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি উপরোক্ত কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, সারাদেশেই বহুতল বিশিষ্ট এপার্টম্যান্ট নির্মাণ করা হবে। এসব এপার্টম্যান্টে প্রবাসীদের জন্য কিছু ফ্ল্যাট সংরক্ষিত রেখে বাকিগুলো বিক্রি করা হবে। দেড়শ’ বছরেরও অধিক পুরনো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় একটি মিলনায়তন নেই, এটি দু:খজনক। এখানে একটি মাল্টিপারপাস মিলনায়তন নির্মাণ করা হবে, যা হবে সম্পূর্ণ নান্দনিক। পরিচ্ছন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়তে কাজ করা হবে। তিতাস নদীর পূর্বতীরে গড়ে তোলা হবে উপশহর। যার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। শহরের পূর্বপ্রান্তে তিতাস নদীর পাড় দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণের নকশার কাজ প্রায় শেষ, প্রকৌশলীরা এলাকা সরজমিন পরিদর্শন করেছেন।তবে, সকল কাজই হতে হবে পরিবেশবান্ধব।শিশুদের বিনোদনের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি শিশু পার্ক গড়ে তোলা হবে। পৌর এলাকার সীমানা বর্ধিতকরণের কাজ চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গড়ে তোলা হবে একটি নান্দনিক শহর হিসেবে।
ইদানিং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ছিনতাই সংগঠিতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এই জনপদে ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি বেশকিছু ছিনতাই হয়েছে। ছিনতাই-চাঁদাবাজি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এসব অপকর্মের সাথে যদি আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত থাকে, তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে। সামনে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে যাতে কেউ কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে সেদিকে পুলিশী নজরদারি বাড়াতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শান্তিপ্রিয় শহর। এখানে রাজনৈতিক সহমর্মিতাও বিদ্যমান। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা নগরীতে ইসরাইলীদের অত্যাচার-নির্যাতন চলমান থাকায় আমাদের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়ছে। শেখ হাসিনার সরকার যেই বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে, এর সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভিসি প্রফেসর ড. সৈয়দ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। সাংবাদিক ও বাচিক শিল্পী মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টি বোর্ড ও পিএসসির সদস্য প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাহমুদুল হক ও কাজী শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টিগণ, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।