আদালতের গেইটে মায়ের জন্য দুই শিশুর আহাজারি

আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার আদালতের গেইটে মায়ের জন্য দুই শিশুর আহাজারিতে মানুষের চোখ ভিজে উঠে। মঙ্গলবার আদালতের পূর্ব গেইটের সড়কে এই দৃশ্য দেখা যায়। আদালতের গেইট দায়িত্বে থাকা পুলিশ শিশুদের উদ্ধার করে আইনজীবীদের নিকট নিয়ে যায়।
পুলিশ ও আইনজীবীদের সূত্র জানায়,কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা গ্রামের মনির হোসেনের সাথে একই গ্রামের এক নারীর ১৪ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়ে ও ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। সম্প্রতি পারিবারিক কলহে মনির হোসেন প্রবাস থেকে তাকে তালাক দেয়।
কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২নং আদালতের স্পেশাল পিপি মিজানুর রহমান বলেন, তালাকের পর নিয়ে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২নং আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। আদালত তার কাবিনের টাকা পরিশোধ ও শিশুদের পিতার পরিবারে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। আজ আদালত গেইটে দাদা ফরিদ মিয়া শিশুদের নিয়ে যেতে চাইলে শিশুরা কান্নাকাটি করে। স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে। কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন আল-মাহমুদ পুনরায় তাদেরকে আমাদের নিকট নিয়ে আসেন। আমরা দুই পক্ষ বুঝিয়ে বলি। শিশুদের আপাতত: মায়ের নিকট হস্তান্তর করি।
চান্দলা গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মেয়েটির সংসার ভেঙেছে। মেয়েটির শ্বশুর ফরিদ মিয়ার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। শিশুদের মায়ের নিকট রাখা উচিত।
শিশুদের মা তার নাম সংবাদপত্রে প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এনে স্বামীর পরিবারকে দিয়েছি। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে চাই।
কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন আল-মাহমুদ বলেন,শিশুর দাদা তাদেও সিএনজি অটো রিকশা যোগে নেয়ার সময় কান্না করছিলো। এনিয়ে পথচারীরা তাদের আটক করে। পরে আমরা তাদের উদ্ধার করে আদালতে নিয়ে যাই।