আসন ফেরতের দাবিতে ক্ষুব্ধ মেঘনা ও হোমনার মানুষ

অফিস রিপোর্টার।।
সংসদীয় আসন ফিরে পেতে চান কুমিল্লার মেঘনা -হোমনা উপজেলার মানুষ। এনিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবর কয়েক দফা আবেদন, গণ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে মেঘনা ও হোমনা উপজেলার বাসিন্দারা। আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন মেঘনা ও হোমনার উপজেলার চেয়ারম্যান,দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সর্বশেষ সোমবার গণ সমাবেশের আয়োজন করে মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগ। উপজেলার সকল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপজেলা সদরের ভাটের চর এলাকায় মিলিত হন। এসময় তারা সংসদীয় আসন পুন: উদ্ধারের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, ২৪৯ নম্বর নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-১ থেকে ২৫০নম্বর নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-২এর সাথে তারা যুক্ত হতে চান। কারণ দাউদকান্দির সাথে তাদের ভূমির সম্পর্ক নেই। তাদের নিকটের উপজেলা হোমনার সাথে তারা মিলতে চান। আসন ফেরতের দাবিতে ক্ষুব্ধ দুই উপজেলার মানুষ।


গণ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেঘনা উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা মো. শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ১৯৯৮সালে মেঘনা উপজেলা গঠিত হয়। এতে দাউদকান্দির তিনটি ইউনিয়ন ও হোমনার চারটি ইউনিয়ন নেয়া হয়। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপের কারণে সংসদীয় আসনে মেঘনাকে হোমনার সাথে রাখা হয়। এখনও দাউদকান্দির সাথে মেঘনার ভূমির যোগাযোগ নেই। চরাঞ্চল মেঘনার সাথে হোমনার ভালো যোগাযোগ। বর্তমানে আইন শৃংখলা রক্ষায় মেঘনার সাথে হোমনার পুলিশের সার্কেল রয়েছে। মেঘনার খাদ্য গুদাম হোমনায়। তিনি বলেন,দাউদকান্দির ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে তিতাস উপজেলা গঠিত হয়। দাউদকান্দির আসন তিতাসের সাথে করা প্রয়োজন। ১৯৫৪সাল থেকে ২০০১সাল পর্যন্ত মেঘনার সংসদীয় আসন ছিলো হোমনার সাথে। ২০০৮ সালে অনির্বাচিত সরকার কিছু মানুষকে সুবিধা দিতে মেঘনা -হোমনা সংসদীয় আসন বাতিল করে। এরপর থেকে মেঘনার মানুষ একরকম বন্দী জীবন যাপন করছেন। মেঘনার তেমন উন্নয়ন নেই। মানুষের আন্দোলনের মুখে ২০১৮সালে আসন পুনর্বহাল করা হয়। এরপর এক চক্রের চাপের মুখে জনমত উপেক্ষা করে তা আবার বাতিল করা হয়।