ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার ভিডিও ভাইরাল

প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ইউনিয়ন(ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বেগমাবাদ গ্রামের ধীরেন্দ্র সাহার বাড়িতে। ওই হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
স্থানীয়রা জানান, ধীরেন্দ্র সাহার ছেলে প্রবীর সাহার বাড়ির সাথে ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমি বাড়ির সাথে মিলিয়ে টিনের সীমানা ভেঙ্গে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম ওই বাড়িতে গিয়ে গালমন্দ ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শ্রমিকদের বাধা, নির্মাণ সামগ্রী ভাংচুর এবং প্রবীর সাহার উপর হামলা করেন।
ওই ঘটনায় সংবাদ পেয়ে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহত প্রবীর সাহা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে জানান, আমার চাচাতো ভাই শংকর সাহা থেকে প্রায় ২০ বছর পূর্বে আমার ঘরের পাশে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করে টিনের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে রাখি। আজ পাকা বাউন্ডারি দিতে গেলে জাহিদ চেয়ারম্যান তার দলবল নিয়ে এসে আমার বাউন্ডারি ভেঙ্গে ফেলে, অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে, নির্মাণ সামগ্রী ফেলে দেয় এবং নির্মাণ শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শনে কাজ বন্ধ করে দেয়। আমাকে চড় থাপ্পড়, ঘাড় ধরে ধাক্কা দেয়। এক পর্যায়ে কোদালের বাট ভেঙ্গে আমার পেটে আঘাত করে।
এ ব্যাপারে ৮নং জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম বলেন, তিন ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজনকে নিয়ে গত ৪ আগস্ট সালিশ করা হয়। সালিশে আপন রায় নামের এক প্রতিবেশীর বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণে প্রবীর সাহাকে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক শতাংশ জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রবীর সাহা সালিশের ওই রায় না মেনে টিনের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পাকা ওয়াল নির্মাণ করার চেষ্টা করে। পাকা ওয়াল নির্মাণ না করার জন্য আমি ইতিমধ্যে প্রবীর সাহাকে দুটি লিখিত নোটিশ করি, তা অমান্য করে আজ পাকা ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে আমি বাধা দেই।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেব। তবে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় আদালতের আশ্রয় নেওয়া ভালো হবে বলে পরামর্শ দিয়েছি।