ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিরাপদ অভিবাসন কর্মশালা

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের মিলনায়তনে রোববার  নিরাপদ শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে বিদেশগমনেচ্ছু, বিদেশগামী এবং বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের আয়োজনে ১২০ জন শিক্ষার্থী এবং ১৫ জন শিক্ষকদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি এবং মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ। উপস্থাপনায় তিনি নিরাপদ, নিয়মিত, সুশৃঙ্খল এবং দায়িত্বশীল অভিবাসন নিশ্চিতকরণ, মানব পাচার রোধ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য নিরসন, উচ্চ অভিবাসন ব্যয় হ্রাস, অভিবাসী কর্মীর অধিকার সুরক্ষা, অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।
দেবব্রত ঘোষ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং  জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি নিরাপদ অভিবাসন তথ্য এবং প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের সুবিধাদি জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে সরাসরি বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষা শিখে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের কাউন্সেলর  এস এম রিফাত শাহরিয়ারের অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন এবং অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি তুলে ধরেন। তিনি অভিবাসন বিষয়ক যেকোন প্রয়োজনে এমআরসি বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল আলম হেলাল।
 তিনি তার তার বক্তব্যে বলেন, অভিবাসনকে নিরাপদ, সুষ্ঠ, নিয়মিত করতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কুমিল্লা যেহেতু দেশের শীর্ষ অভিবাসনপ্রবণ জেলা, সেহেতু শিক্ষার্থীরা খুব সহজে অভিবাসনের সঠিক বার্তা শহরাঞ্চল এবং গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে পারবে। ফলে মানুষ দালালের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তিনি এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করার জন্য জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।