‘এক চাঁদাবাজ খেদালে আরেক চাঁদাবাজ এসে হাজির হয়’

অফিস রিপোর্টার।।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা দুইশ বছর লড়াই করে ব্রিটিশদের খেদিয়েছে, তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একটি শান্তি ও নিরাপদ জীবন উপহার দেওয়ার জন্য। পাকিস্তান থেকে এ দেশকে আলাদা করেছে যাতে করে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটি নিরাপদ বাংলাদেশে বসবাস করতে পারে। ১৯৯০-এ স্বৈরাচারকে হটিয়েছে যাতে জনগণ শান্তিতে থাকতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয়ে ব্রিটিশ খেদানোর ৭৫ বছর পরে, পাকিস্তানি হানাদাদের খেদানো ৪৫ বছর পরে, এরশাদ খেদানোর প্রায় ৩০ বছর পরে আজও আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার নগরীর টাউন হলে মাঠে এনসিপির শোক পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, রাস্তায় নিরাপত্তা নেই, মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি আমাদেরকে চাপা দিয়ে চলে যায়। আমাদের হসপিটালে নিরাপত্তা নেই, আমরা ভাল চিকিৎসা পাইনা। শ্রেণি কক্ষে নিরাপত্তা নেই, বিমান এসে আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ভাই বোনদেরকে হত্যা করে চলে যায়। আমাদের নিরাপত্তা ঘরে নেই, সেখান থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুম করে ফেলা হয়। আমাদের ব্যবসায়ীরা নিরাপদ নেই, তাদেরকে চাঁদা না দিলে পিটিয়ে রাস্তায় হত্যা করা হয়। আমরা এই নিরাপদ জীবনের জন্য বার বার লড়াই করছি, জীবন দিচ্ছে কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তান হচ্ছে না। এক চাঁদাবাজ খেদালে আরেক চাঁদাবাজ এসে হাজির হয়।

inside post

তিনি আরও বলেন, যেই বিমান আমাদের দেশকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ বিমান আমাদের দেশের জনগণকে হত্যা করে। যখন আমাদের ডাক্তাররা আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন ও ওষধ দিয়ে আমাদের হত্যা করে। পুরো দেশটাই দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। যতগুলো ঘটনাই ঘটে আমরা এক শোক র‌্যালি, শোক যাত্রা করি এর পরই শেষ। রানা প্লাজায় শ্রমিকরা নিরাপদ ছিলো না।
আইন অমান্য করে রানা প্লাজা তৈরি করা হয়েছে। আমরা তাজরিন গার্মেন্টসের কথা ভুলে যাই নাই। সেখানে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে শত শত গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছে। বাংলাদেশের রাস্তায় প্রতিদিন শতজন নিহত হয় সড়ক দুর্ঘটনায়। এই বাংলাদেশকে নিরাপদ ভাবে গড়ে তুলতে আমরা এই প্রজন্ম আপনাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার সামনে যে প্রজন্ম দাঁড়িয়ে আছে, এই প্রজন্ম প্রায় ৫০ বছর ধরে জিম্মি করে রাখা একটি পরিবার থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে। আগামীতে বাংলাদেশে যেন শোক যাত্রা করতে না হয়, এনসিপির নেতৃত্বে সেই ব্যবস্থাই করা হবে। ইনশাআল্লাহ।

আরো পড়ুন