নাগরিক বর্জ্য থেকে সিটিজেন ফার্টিলাইজার

।। মতিন সৈকত ।।

inside post

বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহন,পরিশোধন, প্রক্রিয়াকরণ, নিষ্কাশন, ব্যবহার ও সম্পদে রূপান্তরের সমন্বিত পদ্ধতিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলে। সঠিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, এবং সম্পদের উপর বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর সভ্যতা-সংস্কৃতি, মননশীলতা,
লোকাচার নির্ভর করে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশকে নান্দনিক, সহনশীল ও মার্জিত রাখে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হলে পরিবেশ এবং মানব স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে আসে। বর্জ্য অ-ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। খাল-নদী জলাশয় মহাসংকটে। সড়ক মহাসড়কের পাশে সব ধরনের ময়লা আবর্জনা বর্জ্যের ভাগাড় পাহাড় পরিমাণ স্তুপ জমে আছে। হাট বাজারের প্রবেশ পথে এবং লাগোয়া স্থানে ময়লা আবর্জনার দূষণ চলছে। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি অফিসের বহিরাঙ্গনে অথবা কাছাকাছি ময়লার স্তূপ। অনেক উপজেলা এবং জেলা প্রশাসনের লাগোয়া জাগায় আবর্জনা জমে আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিতরের পরিবেশ ঠিক থাকলেও বাইরের পরিবেশের উপর নজর নেই। হাট বাজার পৌরসভা সংলগ্ন খাল নদী ময়লা আবর্জনা বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত করে ফেলছে। পরিবেশ দূষণে নগরকে নরকে পরিণত করার মহোৎসব চলছে। মহাসড়কের আইল্যান্ডও পরিবেশ দূষণ মুক্ত নয়। অনেক বাজার, আড়তের পাশে আইল্যান্ডকে ডাস্টবিন করে রেখেছে। আড়তের বর্জ্য আবর্জনা মহাসড়কের পাশে এবং খাল নদীতে গাড়ির পর গাড়ি ভর্তি করে এনে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। স্ত্রোতস্বিনী নদীর ব্রিজ থেকে রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভর্তি আবর্জনা ফেলে নদী দূষণ করছে।
কলকারখানা এবং গাড়ির কালোধোঁয়ায় নিত্যনৈমিত্তক বাতাস বিষাক্ত করছে। কারখানার বিষাক্ত পদার্থ, বর্জ্য সরাসরি খালে বিলে নদীতে ঢেলে দিচ্ছে। সুয়্যারেজের পাইপ লাইন নদীতে সংযোগ। কৃষি আবাদি জমিতে এবং আবাসিক এলাকায় আইন-কানুন উপেক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণ কলকারখানা স্থাপন করে পরিবেশকে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটিয়ে চলছে এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত। সিটি করপোরেশ দিন রাত চেষ্টা করেও আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনায় কুলিয়ে উঠছেনা। পৌরসভার বর্জ্য মহাসড়কের পাশেই উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা লিপ্ত। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে উদাসীন।

আদিকাল থেকেই গৃহস্থালি ময়লা, আবর্জনা নিদিষ্ট জাগায় জমিয়ে রেখে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পারিবারিকভাবে জৈব সার রুপান্তর করে কৃষক
জমিতে হস্তান্তর করে ফল ফসল উৎপাদন করতেন।পরিবারের সকলের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি এবং সহযোগিতা ছিল সমবায় ভিত্তিক কৃষি। কৃষি ছিল পারিবারিক আয়। খোরপোষের ব্যবস্থা। নিজদের খাওয়া পরা হলেই চলত। তারপর উদ্বৃত্ত বিনিময় বা বিক্রি করত।
এখন বাণিজ্যিক কৃষি স্বচ্ছলতার অন্যতম মাধ্যম। প্রতিদিন জনসংখ্যা বাড়ছে। খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মত মৌলিক অধিকার পূরণ করছে কৃষি। আজকে বাংলাদেশে কৃষি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল দৃষ্টান্ত। যেখানে জনসংখ্যা বেশি, অত্যাধিক ঘনত্ব। সেখানে পরিবেশ সুরক্ষা ব্যহৃত হয়। পপুলেশন যেখানে বেশি পলিউশন সেখানে ঘটে। আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীতে তিরানব্বইতম। জনসংখ্যায় অষ্টম। এতেই সহজে ধারণা করা যায় বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিবেশ পরিস্থিতি। প্রায় বিশ কোটি জনসংখ্যার ভারে বাংলাদেশ টালমাটাল। তারপর রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয় আরকটি বড় চ্যলেন্জ। অধিক জনসংখ্যার চাপে শহর নগর গ্রাম সব জায়গাতেই পরিবেশের ভয়াবহ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছেনা। পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যের ফলে নগর নরকে পরিণত হচ্ছে।

উন্নত দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতামত গুরুত্ব দিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আসলেই বাংলাদেশের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপার চ্যলেঞ্জ গ্রহন করে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে। জ্বালানি শক্তির কাচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। পলিথিন প্লাস্টিক আলাদা করে রিসাইকিলিং করে পূণরায় ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। নতুন করে পলিথিন প্লাস্টিকের উৎপাদন সীমিত করতে হবে। জনগণ যেন পরিবেশের ভয়াবহ পলিথিন প্লাস্টিকের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হয় সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পলিথিন প্লাস্টিক সরিয়ে ফেললে পচনশীল বর্জ্য মাটিতে রূপান্তরিত হয়ে মহামূল্যবান সম্পদ ও সম্পত্তিতে পরিণত হবে। নাগরিক বর্জ্য থেকে নাগরিক সার বা সিটিজেন ফার্টিলাইজারে রূপান্তর করতে হবে। পৃথিবীতে সব সময়ই মাটি সেরা সম্পদ হিসেবে টিকে থাকবে। মাটির মায়া বড় মায়া। মাটি পানি বাতাস খাদ্য কেন্দ্রীক জীবন। জীব এবং জীবনের জন্য পৃথিবী। পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে পরিবেশ সংরক্ষণ রাখতে হবে।

মানুষ যতদিন থাকবে বর্জ্য ও ততদিন থাকবে। বর্জ আমাদের জীবনেরই অংশ। আমাদের খাওয়া পরা ব্যবহারযোগ্য পণ্যের অবশিষ্টাংশ উচ্ছিষ্টাংশ-ই বর্জ। আমরা যা খেয়ে পরে ব্যবহার করে ফেলে দেই তা ময়ালা আবর্জনা বর্জ্য। মনুষ্য ব্যবহার্য অপ্রয়োজনীয় বস্তু আবর্জনা।

ব্যবহারের সময় এবং আগে যা মহামূল্যবান সম্পদ ব্যবহারের পরে তা বর্জ্য। সোজা কথায় আমরা যা বর্জন করি তা বর্জ্য। বর্জ্য আবর্জনা আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে পারলে মূলবান সম্পদে পরিণত হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিরাট ব্যবসায়িক সাফল্য নির্ভর করে। ভাঙ্গারী মালের ব্যবসার মাধ্যমে লাখো মানুষ সম্পদশালী এবং সমৃদ্ধিশালী হয়েছে। নাগরিক বর্জ্য থেকে নাগরিক সার রুপান্তর করলে এবং মাটিসহ অনন্য সম্পদে পরিণত করার কৌশলটা একবার ধরিয়ে দিতে পারলে তখন বর্জ্য আবর্জনার কাচলাম ও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সঠিক পদ্ধতি এবং আইডিয়া বাস্তাবায়ন করলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হবে। তখন ময়লা আবর্জনা ভাগাড় খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বিষাক্ত দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস হওয়া লাগবেনা। রাস্তায় ডাস্টবিনে ভাগাড়ে খালে বিলে নদী নালায় আবর্জনার স্তুপ দেখলে আমরা যে নাক সিটকাই। সমালোচনা করি অন্যকে অসভ্য অভদ্র বলি। আসলে এ ময়লা আবর্জনা বর্জ্য কোত্থেকে আসে? এগুলো আমি আপনি আমরা সৃষ্টি করছি। বাসা-বাড়ি, হোটেল-দোকানের ময়লা আবর্জনা কোথায় যায়? এক সপ্তাহ যদি আমাদের বাসা বাড়ির ময়লা ঘর থেকে বের করতে না পারি তা হল আমাদের আবাসস্থল ডাস্টবিনে পরিণত হবে। জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে উঠবে। আমাদের আবাসস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে গিয়ে রাস্তা ঘাট ডাস্টবিনে আবর্জনা বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বাসা বাড়ি পরিচ্ছন্নতা পাশাপাশি রাস্তা ঘাটের ময়লা আবর্জনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক পদ্ধতি নিয়ে সবায় কে ভাবতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিগুলো উল্লেখ হল ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি : বর্জ্যপদার্থ সংগ্রহ, বর্জ্যের পরিবহন, আবর্জনার বিলিব্যবস্থা, নর্দমার জল ও অন্যান্য বর্জ্যের নিকাশ প্রভৃতি হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্যতম দিক । বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান পদ্ধতিগুলি হল— (১) বর্জ্য পৃথকীকরণ, (২) ভরাট করণ, (৩) কম্পোস্টিং বা মিশ্রসারে পরিণতকরণ, (৪) নিষ্কাশন ও (৫) স্ক্রাবার ।

(১) বর্জ্য পৃথকীকরণ : এই প্রক্রিয়ায় পচনশীল, অপচনশীল ও দূষিত বর্জ্যকে পৃথক করা হয় । বর্জ্য পৃথকীকরণের মাধ্যমে জৈব ভঙ্গুর বর্জ্যকে পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ায় মিশ্রসারে পরিণত করে কৃষিকাজে হিউমাস হিসাবে ব্যবহার করা যায় । আবার, জৈব অভঙ্গুর বর্জ্যকে সুষ্ঠু বিলিব্যবস্থা ও পুনর্নবীকরণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । বর্তমানে কেরালায় প্লাস্টিকের দ্রব্য থেকে অশোধিত তেল উৎপাদন করা হচ্ছে ।

(২) ভরাট করণ : এই প্রক্রিয়ায় একটি বিশাল গর্তে গৃহস্থালি ও পৌরসভার বর্জ্য আবর্জনাকে ফেলে তার ওপর মাটি চাপা দেওয়া হয় । এই বর্জ্য আবর্জনার পচনে হিউমাস তৈরি হয় এবং পরে তা কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয় । তবে এই ব্যবস্থায় মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্ন হয় । তবে মাটির মধ্যে ঢাকা দেওয়া থাকে বলে বর্জ্য থেকে কোনো রোগজীবাণু বায়ুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে না । একই জায়গায় বর্জ্যগুলি জমে থাকার ফলে বৃষ্টি হলে তা থেকে নোংরা দূষিত জল চুইয়ে চুইয়ে আশেপাশের জলাশয়ের ভূগর্ভস্থ জলস্থরে মিশ্ব পানীয় জলের দূষণ ঘটাতে পারে । বর্জ্য ধোয়া ওই দূষিত জলকে লিচেট বলে ।

(৩) কম্পোস্টিং বা মিশ্রসারে পরিণতকরণ : প্রাকৃতিকভাবে জৈব বর্জ্যের বিয়োজনের প্রক্রিয়াকে কম্পোস্টিং বলে । এই পদ্ধতিতে কৃষিজ বর্জ্য, অন্যান্য জৈব বর্জ্য এমনকি বিপদজনক জৈব বর্জ্যপদার্থকে গর্তে ফেলে পচিয়ে মিশ্র সার তৈরি করা হয় এবং পরে তা কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় । এভাবে উৎপন্ন জৈব সারে উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফেট প্রভৃতি পুষ্টিকর উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে থাকে । ভারতে প্রধানত দুটি পদ্ধতিতে কম্পোস্টিং হয় — (ক) ব্যাঙ্গালোর পদ্ধতি বা অবাত কম্পোস্টিং ও (খ) যান্ত্রিক পদ্ধতি বা সবাত কম্পোস্টিং ।

(ক) ব্যাঙ্গালোর পদ্ধতি বা অবাত কম্পোস্টিং : প্রথমে মাটিতে পরিখা বা ট্রেঞ্চের মত একটি অগভীর লম্বা গর্ত করা হয় এবং তার মধ্যে নানা ধরনের জৈব বর্জ্য ফেলে তার ওপরে পয়ঃপ্রণালী ও গবাদি পশুর মলমূত্রের একটি স্তর তৈরি করা হয় । এর ওপর মাটি চাপা দিয়ে ১৫-২০ দিন রেখে দিলে নীচের জৈব পদার্থ অবাত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজিত হয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি হয় । একে ব্যাঙ্গালোর পদ্ধতি বা অবাত কম্পোস্টিং বলি ।

(খ) যান্ত্রিক পদ্ধতি বা সবাত কম্পোস্টিং : প্রথমে বর্জ্য পদার্থ থেকে ধাতুখণ্ড, কাচ প্রভৃতি আলাদা করা হয় এবং তার পর অবশিষ্ট জৈব বর্জ্য পদার্থকে যন্ত্রের সাহায্যে চূর্ণবিচূর্ণ করা হয় । এরপর ওগুলির সঙ্গে মলমূত্র মেশানো হয় এবং শেষে ঘূর্ণায়মান যন্ত্রে রেখে সবাত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজন ঘটানো হয় । এইভাবে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বর্জ্য বিয়োজিত হয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি হয় । এটি যান্ত্রিক পদ্ধতি বা সবাত কম্পোস্টিং নামে পরিচিত।

(৪) নিষ্কাশন : এই পদ্ধতিতে নর্দমার ময়লা জল ও অন্যান্য তরল বর্জ্যকে নিকাশি নালা, সেপটিক ট্যাংক ও পয়ঃপ্রণালীর মাধ্যমে নিষ্কাশন করা হয় । ভারতের বেশিরভাগ শহরে নিকাশি নালাগুলি নদীর সঙ্গে যুক্ত । তাই এর ক্ষতিকর দিক হল নদীর জলের দূষণ ।

(৫) স্ক্রাবার : বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের যান্ত্রিক পদ্ধতি হল স্ক্রাবার । কলকারখানা, শক্তিকেন্দ্র প্রভৃতির ধোঁয়ায় নির্গত বিষাক্ত গ্যাসীয় বর্জ্যকে স্ক্রাবার যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধৌত করে সেই দূষকগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে । বর্তমানে স্ক্রাবার গ্যাসীয় বর্জ্যের মধ্যে প্রতিক্রিয়াসাধক বস্তুর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে অ্যাসিড গ্যাসগুলিকে দূরীভূত করে । স্ক্রাবার যন্ত্রে সাধারণত দু-ভাবে গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের বা নিষ্কাশন করা হয় । যথা— (ক) আর্দ্র স্ক্রাবিং ও (খ) শুষ্ক স্ক্রাবিং ।

(ক) আর্দ্র স্ক্রাবিং : এক্ষেত্রে কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস, ধূলিকণা প্রভৃতি বায়ুদূষককে কোনো জলীয় দ্রবণের মধ্যে চালনা করে বিশুদ্ধ বাতাস নির্গত করা হয় ।

(খ) শুষ্ক স্ক্রাবিং : এই পদ্ধতিতে জলীয় দ্রবণ ছাড়াই বস্তুকণা ও দূষিত বাতাস স্ক্রাবারের মাধ্যমে পরিস্রুত করে বিশুদ্ধ বাতাস নির্গত করা হয় । সাধারণত শুষ্ক স্ক্রাবিং পদ্ধতিতে অম্লধর্মী গ্যাস অপসারণ করা হয়।’

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় পরিবেশ পদক এবং দুইবার জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত এগ্রিকালচারাল ইম্পর্ট্যান্ট পারসন এআইপি।

আরো পড়ুন