টমছমব্রিজের বাজার দোকান মসজিদ অপসারণ দাবি


মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে ট্রমছম ব্রিজ। এই সড়কটি লাকসাম রোড নামে পরিচিত। এই সড়কে প্রতিদিন যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকেন নগরবাসী। তারা এই হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে মুক্তি চান। নগরবাসীর মতে,সড়কটির ফুটপাত দখল মুক্ত করা,কান্দিরপাড়,সালাউদ্দিন মোড় ও টমছমব্রিজে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো ও টমছম ব্রিজে ড্রেনের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা সরাতে হবে। এই সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে আসলে কমবে নগরীর অর্ধেক যানজট।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,কান্দিরপাড় থেকে টমছমব্রিজ সড়কটির দুই পাশের ফুটপাতে ভাসমান যত দোকান। রামঘাটলা,কুমিল্লা টাওয়ার আর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড এলাকার যানজট সাঁতরিয়ে এসে সালাউদ্দিন মোড়ে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে নগরবাসী। এখানেও সদর হাসপাতাল সড়কের মুখে ফুটপাত দখল হয়ে আছে। এই মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল। টমছমব্রিজ এলাকায়ও ফুটপাত দখল হয়ে আছে।

inside post


কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মাউদ বলেন,একদিকে টমছমব্রিজ মোড়ে ড্রেনের ওপর গড়ে উঠেছে মসজিদ। অথচ ত্রিশ বৎসর পূর্বে সারা শহরের ময়লা আবর্জনা প্রবাহের একমাত্র ড্রেনের মুখে মসজিদ থাকা ঠিক নয় বলে আলোচনা হয়েছিল। মসজিদটিকে স্থানান্তর করে বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সের সাথে সমন্বয় করে বৃহদাকারে মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে। এই স্থানটিতে পুলিশ বক্স ও যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা করলে যানজট কমে যাবে।
রাস্তার পূর্ব পাশে উ গড়ে উঠা আরব হোটেল, হাফসা বেকারির সামনের অংশেও যানজট লেগে থাকে। এখানে সরকারকে জমি অধিগ্রহণের পর সড়ক চওড়া করতে হবে। এদিকে টমছম ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি সড়কের ৪০ ফিটের উভয় দিকে ২০ ফুট স্থায়ী টিনের চালা, ১০ ফুট অস্থায়ী কাঁচাবাজার বসানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১০ ফুট দিয়ে কোন রকমে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। অপর দিকে টমছম ব্রিজ থেকে ৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাখরাবাদ ও ইপিজেড সড়ক। এটি নগরীর অন্যতম ব্যস্ত সড়ক। লাখো মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে সড়কের পাশে এক চিলতে অস্থায়ী দোকান নির্মাণ বন্ধ করা উচিত।
আলোকিত বজ্রপুর সংগঠনের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন,কান্দিরপাড় ও মনোহরপুর সড়কের অবৈধ দোকান সরানো হলেও লাকসাম রোডে সেই উদ্যোগ তেমন চোখে পড়ে না। এই সড়কে যানজটের কারণ অনুসন্ধান করে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সিএনজি অটো রিকশা চালক কামাল হোসেন বলেন, এই সড়কে ঘন্টা ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। তাই যাত্রীও কমছে। অনেকে মিশুক যোগে রামমালা কিংবা চর্থা হয়ে চলাচল করেন। যানজটের কারণে আমাদের সময় নষ্ট হচ্ছে সাথে ভাড়াও কমছে।
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, টমছমব্রিজের যানজটের সমস্যা গুলো নিয়ে প্রশাসক স্যার ও প্রকৌশলীসহ আমরা বিভিন্ন সময় আলোচনা করেছি। তবে জমি অধিগ্রহণে বড় ধরনের বরাদ্দের প্রয়োজন হবে। বরাদ্দ পেলে এটাও এক সময় বাস্তবায়িত হতে পারে।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক)মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়ার বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন