ককটেল ফাটিয়ে ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ

ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন এক ইউপি সদস্য প্রার্থী। ওই প্রার্থীর নাম মাসুদ রানা। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৫ নং পাঁচথুবী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওই ওয়ার্ডে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে তিনি মোরগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করেন। বাকি দুজন হলেন ফুটবল প্রতীকের আবুল খায়ের ও তাজুল ইসলাম চাপকল।

মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণার সময় জানানো হয় তার মোরগ প্রতীকে ৭২৯ ভোট পড়েছে। তিনি বিজয়ী হওয়ার পথে। ঠিক তখন হঠাৎ পুলিশের সামনে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের বহিরাগতদের নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশের সাথে বহিরাগতদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই গন্ডগোলের সুযোগে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করা হয়। পরে আবার যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তখন আমাকে জানানো হয় আমার মোরগ প্রতীকে ভোট পড়েছে ৬৩৩, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল খায়ের ফুটবল প্রতীকে ভোট পড়েছে ৭২৯ এবং চাপকলের তাজুল ইসলাম পেয়েছে ৪৪৮ ভোট। আবুল খায়েরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে আবুল খায়ের বলেন, অতীতে আমাদের শাহপুর বন্দিশাহী কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ থাকলেও এ বছর সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অসত্য।
ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, আমি আবারো নির্বাচন চাই। সে লক্ষ্যে আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছি। এই আবেদনের অনুলিপি আমি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা পুলিশ সুপারসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থা বরাবর পাঠিয়েছি।
কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দুলাল তালুকদার বলেন, ফলাফল ঘোষণা হয়ে গেছে। তবে যদি কোন প্রার্থী ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হয় সেই ব্যক্তি নির্বাচন ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারে। সেখানে ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি দেখবে।