কাঠ বিছিয়ে ৭গ্রামের মানুষের চলাচল!

-দেবিদ্বারে সেতু ভাঙা দুই মাস-

inside post

আল-আমিন কিবরিয়া ||
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে একটি ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ৭ গ্রামের মানুষ। সেতুটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসী। কারণ, এটিই তাদের যোগাযোগের একটি মাধ্যম।

মোহনপুর ইউনিয়নের এই ভাঙা সেতুটি সংযোগ করেছে কুরুইন, মোহনপুর, ছোটনা, দিঘীরপাড়, বিহারমন্ডল, নোয়াপাড়া ও বুড়িচংয়ের আবিদপুর গ্রামের মানুষকে। প্রায় দুইমাস সেতুটির বেহাল অবস্থা। মোহনপুর-ছোটনা গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত দোয়াইর খালের উপর ১৯৯২ সালে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। দীর্ঘ ৩৩ বছরে আর কোনো সংস্কার না করায় সেতুটির এ অবস্থা দাঁড়ায়।

সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙ্গে বেরিয়ে পড়েছে লোহার রড। হয়েছে বড় আকারের গর্ত। চলাচল করতে ভাঙাস্থানে বিছিয়ে রেখেছে কাঠের পাটাতন। খসে পড়ছে সেতুর নিচের অংশের পলেস্তরা। ভারী কোন যানবাহন উঠলেই সেতুটি কেঁপে ওঠে। সরজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।

ছোটনা গ্রামের কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ইউসুফ ও মোহনপুর গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, এ সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন অসংখ্য ছোট যানবাহন ও লোকজন পারাপার হয়। সেতুটি পার হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন বিদ্যালয়ে যায়, ভয় লাগে। যে কোনো মুহূর্তে প্রাণহানির হতে পারে।

মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আমাকে জানায়। ব্যক্তি উদ্যোগে সংস্কার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেতুটি পুরাতন। সংস্কার করলেও কাজে আসবে না।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেন, এই সেতুটি নতুন করে করার জন্য আমাদের হাতে কোনো প্রকল্প নেই। এজন্য কিছুদিনের মধ্যে আমরা মেরামত করে দিব।

আরো পড়ুন