কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ হলে বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ একটি বাণিজ্যিক জনপদ। কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে হাব হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এটি আগে পরিপূর্ণ বন্দর ছিলো না। টার্মিনালটি নির্মিত হলে নৌপথে বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটবে। এখানে সাইলোসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান আছে। আগামী দিনে এই জনপদের কদর আরো বাড়বে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
বিগ্রেডিয়ার (অব.) এম. শাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নৌবন্দরে নতুন কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করছে বিআইডব্লিউটিএ। নতুন এই টার্মিনালে তিনটি জেটি ও স্টোরেজ সেডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। আগামী বছর প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকদিন থেকেই আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছিল। আরেকটি বিষয় হলো বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়ন করে, তখন তারা না দেখে করে না। তারা যদি মনে করে এটা লাভজনক, তখনই তারা অর্থায়ন করে। আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন নৌ উপদেষ্টা। এসময় উপদেষ্টার সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, আশুগঞ্জ কার্গো টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক আইয়ূব আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।