পুলিশের হাতে কামড়ে আসামির পলায়ন, ওসিসহ সাতজন আহত
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের হাত কামড়ে পালিয়ে গেছে একাধিক মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এসময় পলায়নকারী হালিম মিয়ার সহযোগীদের হামলায় ওসিসহ সাত পুলিশ আহত হয়েছেন। এই ঘটনার সাথে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে আহত পুলিশ সদস্যদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করাসহ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে ঘটে পুলিশকে আহত করে আসামি পলায়নের ঘটনা। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন, এসআই মো. সামিম ভূঁইয়া, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রমজান চৌধুরী, মো. আব্দুর রসিদ, আবুল কালাম আজাদ, বিল্লাল হোসেন এবং পুলিশ সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদেরকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের হালিম মিয়া একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী, দুর্ধর্ষ ক্যাডার ও যুবলীগ নেতা। তার বিরুদ্ধে এবাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে গ্রপ্তারের লক্ষ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে নবীনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের ১২ সদস্যের একটি দল খাগাতুয়া গ্রামে অভিযান চালায়। আসামি হালিম মিয়াকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করতেও সক্ষম হয় পুলিশ। পরে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় তাকে ছিনিয়ে নিতে তার সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত হালিমও থানার ওসিসহ কয়েক পুলিশকে কামড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়।
নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘হালিম মিয়া একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী, দুর্ধর্ষ ক্যাডার, ও যুবলীগ নেতা। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় হঠাৎ তার সমর্থকরা পিছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আসামি হালিম মিয়া আমাকেসহ আরও কয়েক পুলিশ সদস্যকে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।’