কিশোরীকে ধর্ষণ; ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
- কুমিল্লা’য় ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণে সহায়তা করায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার এর হাতে গ্রেফতার হন কুমিল্লা উত্তর জেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আবু কাউছার অনিক(৩৫)। র্যাব-১৫ এর সূত্রমতে জানা যায়, আবু কাউছার অনিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে আকলিমা আক্তার (ছদ্মনাম) কিশোরী বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় বাদী ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এফআইআরভুক্ত আসামি করা হয়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পরিহলপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আরব আলী(২৭), চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জিলানী(৩৮), দেবিদ্বার উপজেলার নূরপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে আবু কাউসার অনিক (৩৫) ও একই গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়া(৪০)। ২৪শে সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় র্যাব-১৫ সিপিএসসি কক্সবাজার কলাতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আবাসিক হোটেল সোনার বাংলা হতে মামলার ৩নং আসামি আবু কাউছার অনিককে গ্রেফতার করেন। এসময় অনিক তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার চট্ট মেট্টো গ- ১১-৯৩১৪’তে উঠার চেষ্টা করেছিল।
এবিষয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল আলম শনিবার রাতে অনিককে গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিস্তারিত জানতে অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের কিছু কাজ আছে, কাজগুলো গুছিয়ে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।
উল্লেখ্য, ১নং আসামি আরব আলী(২৭) ও ৩নং আসামি আবু কাউছার অনিককে কয়েকদিন পূর্বে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অধীনে আমতলী পুলিশ ফাঁড়িতে আটক করার তথ্য পাওয়া গেছে। ১নং আসামি আরব আলী আটক থাকলেও ৩ নং আসামি আবু কাউছার অনিক ছাড়া পায়। ওই ঘটনার পর থেকে ২নং আসামি জিলানী, ৩নং আসামি আবু কাউছার অনিক ও ৪নং আসামি শাহজাহান মিয়া কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকেন।