কুমিল্লায় ঈদ নববর্ষের সাথে বোরো তোলার উৎসব

 

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় ঈদ,নববর্ষের সাথে বোরো ধান তোলার উৎসবে মেতেছেন কৃষকরা। ভালো ফলনে খুশি কৃষকরা। শনিবার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ।


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সূত্রমতে,এবছর কুমিল্লায় এক লক্ষ ৬১হাজার ৭৯০হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এই মৌসুমে ব্রি ধান ৯৬ , ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউসুফপুর গ্রামের কৃষক মো. আবুল কালাম বলেন, ব্রি ধান ৯৬ জাতের একটি জমিতে প্রতি হেক্টরে ফলন পাওয়া যায় ৪.১৮ মে. টন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারের মতো ব্রি ধান ৯৬ জাতটি চাষ করেছেন। মাত্র ১৩০ দিনের জীবনকালে বাম্পার ফলন পেয়েছি।
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, এ বছর দেবিদ্বার উপজেলায় ১২,৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১২,৬৩০ হেক্টর। বোরো ধানে ব্রি ধান ২৮ এর পরিবর্তে একই জীবনকালের তবে অধিক ফলনের ব্রি ধান ৯৬ চাষের পরামর্শ প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান ছিল। স্বর্ণা ধানের মতো রঙের এই ধানটিতে প্রোটিনের পরিমাণ ১০.৮% ও এমাইলোজের পরিমাণ ২৮% হওয়ায় ভাত খেতে সুস্বাদু ও ঝরঝরে। ব্রি ধান ৯৬ ছাড়াও ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০১, ব্রি ধান ১০২, ব্রি ধান ১০৪ ও ব্রি ধান ১০৫ জাতের ধানের আবাদ ও বীজ উৎপাদন ইতিমধ্যে দেবিদ্বারে শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ও মিগজাইমের আঘাতে রবি ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকের মৌসুমের শুরু থেকেই আধুনিক উফশী জাত ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেচ নিশ্চিতকরণ, কালবৈশাখী ঝড়, অতিবৃষ্টি, তাপদাহ, রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবসহ নানা প্রতিকূলতা ছিল। নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবছর বোরো মৌসুমে ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে।