কেমন বাংলাদেশ চান কুবির শিক্ষার্থীরা

প্রয়োজন প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সৎ থাকার মানসিকতা
ফাহিমা সুলতানা রাতুয়া।।

inside post

জুলাই আন্দোলনের পর থেকে দেশ, সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করা এবং দেশের কল্যাণে অংশীদার হওয়ার বিষয়গুলো আমাকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করেছে। আমরা প্রত্যেক মানুষই এক একজন নির্মাতা। আমরা যেমন চাইব, আমাদের বাংলাদেশকে সেভাবেই গড়ে তুলতে পারব। আমাদের প্রত্যেকের অন্তরে একটি করে দেশপ্রেমিক সত্বা লুকিয়ে আছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে যেন আমরা বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে পারি, তার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সৎ পথে থাকার মানসিকতা। কারণ আমাদের দেশের দুর্নীতির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক, পাশাপাশি প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ মানুষের সংখ্যাও সীমিত। এর পাশাপাশি আরেকটি বিষয় হলো,আমাদের সমাজে বেশিরভাগ মেয়েরা রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়ে এখনো উদাসীন। এই উদাসীনতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ, যদি আমরা নিজ দায়িত্বে নিষ্ঠার সঙ্গে শ্রম ও মেধা কাজে লাগাই, তবে আমাদের আগামীর পথ আরও সুগম হবে। আর আমরা আমাদের স্বপ্নের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে সক্ষম হবো।
প্রত্যেকের সংস্কৃতির সম্মান দিতে চাই
আমি নৃ-বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। আমি একজন গবেষক হতে চাই। গবেষক হয়ে মানুষের মধ্যে যে সাংস্কৃতিক দ্ব›দ্ব রয়েছে তা দূরে কাজ করতে চাই। প্রত্যেক জাতি গোষ্ঠির আলাদা সংস্কৃতিকে কেন সম্মান দেয়া উচিত তা মানুষকে জানাতে চাই।
– নৃবিজ্ঞান বিভাগ
সেশন ২০২২-২০২৩।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ব্যবস্থা অপরিহার্য
আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজ।
আমি সব সময় একটি দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আমার দেশ কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া একটি শান্তিপূর্ণ জনপদ হিসেবে গড়ে উঠুক। তরুণদের মনখুলে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। দেশের চাকরির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার বিশাল ঘাটতি রয়েছে। যে কোনো মূল্যে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা উচিত। একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ব্যবস্থা সর্বস্তরের মানুষের জন্য অপরিহার্য। সরকার ও প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকারি সেবা থেকে শুরু করে অর্থনীতি, সবকিছুই হবে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ও দক্ষ। প্রযুক্তিকে সকল উন্নয়নমূলক কাজের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
প্রতিটি সংস্থাকে এমনভাবে পরিচালনা করা উচিত যেন তাদের প্রতিটি কাজ জনসমক্ষে উন্মুক্ত হয়। তাদের দুর্নীতির প্রতি শূন্য-সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করা উচিত। প্রত্যেককে তাদের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। স্ব-জবাবদিহিতা এমন একটি জিনিস যা অল্প সময়ের মধ্যে দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে পারে। চাকরির পিছনে দৌড়ানোর পরিবর্তে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর লক্ষ্য হোক দক্ষতায় এতটাই ভাল হয়ে ওঠা যেন সিস্টেমের কাছে তাকে মূল্য দেওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প না থাকে।
প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গড়তে কাজ করবো
আমার গ্র্যাজুয়েশনের এখনও তিন বছর বাকি। কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র হিসেবে আমার লক্ষ্য স্পষ্ট: এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করা যেখানে আমাদের জাতি প্রযুক্তির পূর্ণ ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। আমাদের তাৎক্ষণিক মনোযোগ হওয়া উচিত আধুনিক সফটওয়্যার, ক্লাউড পরিকাঠামো এবং সুসংহত ডিজিটাল সরকারি পরিষেবাগুলির ওপর জোর দেওয়া।
– কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
সেশন ২০২৩-২০২৪
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

আরো পড়ুন