কুমিল্লায় মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশংকা

অফিস রিপোর্টার।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৫কিলোমিটারে ভোগান্তির আশংকা করছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা! মোড়ে মোড়ে অবৈধ পার্কিং, তিন চাকার যান বাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠেছে।
সরেজমিনে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের ওপরে সারি সারি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে রয়েছে। মহাসড়ক হয়ে এসব যানবাহন চলাচল করছে বিভিন্ন স্থানে। এই এলাকায় মহাসড়কের ঢাকা ও চট্টগ্রামগ্রামী দু’টি লেনই অবৈধ তিন চাকার যানবাহনের দখলে। যার কারণে মহাসড়কের এই অংশে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে, ঘটে দুর্ঘটনাও। এছাড়া জরুরি যান চলাচলে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।

চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার এলাকায় গিয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মালামাল নিয়ে নছিমন, করিমন ও ভটভটি অবাধে চলাচল করছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের উপরেই সিএনজি চালিত অটোরিকশার অঘোষিত স্ট্যান্ড। একই অবস্থা মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, কোটবাড়ি বিশ্বরোড, আলেখারচর বিশ্বরোড, সেনানিবাস এলাকায়। এসব স্থানে উল্টো পথেও চলাচল করে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন। এছাড়া মহাসড়কের নিমসার, চান্দিনা, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরিপুরসহ দাউদকান্দির বিভিন্ন এলাকাতে অবৈধ পার্কিং দেখা গেছে।
আলম জামান, জামাল হোসনসহ কয়েকজন যাত্রী জানান, বিভিন্ন বাজারে মহাসড়কের মাঝে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করা হয়। এছাড়া তিন চাকার যান বাহন চলাচলের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়ে হাইওয়ে পলিশ তদারকি না বাড়ালে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হবে।
গৌরিপুর বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ অবৈধ তিন চাকার যানবাহনের দখলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরিপুর এলাকা। এতে করে মহাসড়কে চলাচলরত দূরপাল্লার যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবার যানবাহনগুলোকে যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে । যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন,সুয়াগাজী,পদুয়ার বাজার,ক্যান্টনমেন্ট ও নিমসার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। সেখানে অবৈধ পার্কিং সরাতে আমরা কাজ করছি। এছাড়া নিয়মিত ডিউটির সাথে টহলও বাড়ানো হচ্ছে। আশা করি সবার সহযোগিতা পেলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কোন সমস্যা হবে না।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো.খাইরুল আলমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।