কুমিল্লায় হরতাল সমর্থকদের মিছিলে পুলিশের ধাওয়া, টিয়ারগ্যাস

আহত ২০,আটক ১২জন
তৈয়বুর রহমান সোহেল, আবদুল্লাহ আল মারুফ ।।
কুমিল্লায় হরতাল সমর্থনকারীদের মিছিলে পুলিশের ধাওয়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় লাঠিপেটা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। মিছিলে ধাওয়া দিয়ে দলের ১২ জন নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির কুমিল্লার নেতারা। এসময় আরও অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহতের খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রোববার বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে সকাল ৮ টার দিকে হরতালের দাবিতে মিছিল বের করে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। এসমহ নগরীর কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে রাজগঞ্জ হয়ে চকবাজার পৌঁছালে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় লাঠিপেটা ও পালানোর সময় আহত হন অন্তত ২০ জন।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আক্কাস, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ অনেকে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, হরতালের সমর্থনে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলটি নগরীর চকবাজার যাওয়া মাত্র পুলিশ অতর্কিত লাঠিপেটা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি করে। এ সময় আমাদের কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, আমিরুজ্জামান আমিরসহ প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। গ্রেফতার করা হয় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আক্কাসসহ ১২ জনকে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়ার ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মিছিল চকবাজার এলাকায় প্রবেশ করছিল। মিছিলের অগ্রভাগে ছিল নারী। পুলিশ সামনে এসে কিছু একটা জিজ্ঞেস করেই  মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর চড়াও হয়। তারপর ধাওয়া ও পিটুনি দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে থাকে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তাদের থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়।