কুমিল্লার সোনালু ও কৃষ্ণচূড়ায় হাসবে সেন্টমার্টিন


মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রথমবারের মতো সেখানে অনুষ্ঠিত হলো বৃক্ষ উৎসব। কুমিল্লার গাছ নদী সাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছালো সেন্টমার্টিনে। শনিবার বৃক্ষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় সেন্টমার্টিন বি এন ইসলামিক স্কুল এন্ড কলেজে। বৃক্ষ উৎসবের উদ্যোক্তা কুমিল্লার ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের সহস্রাধিক গাছ উপহার দেয়া হয়। গাছ গুলো হচ্ছে,আম,কাঁঠাল, করমচা , অর্জুন,অশোক, সোনালু,কৃষ্ণচূড়া, হিজল,সমুদ্রজবাসহ আরোও ৭ প্রজাতির শোভাবর্ধক গাছ। সাগর তটে রোপণ করা হয় সাগর লতা গাছ। এ গাছ বালিয়াড়ি বাড়াতে ভূমিকা পালন করে। যা দ্বীপের ভূখন্ড বাড়াতে ভূমিকা রাখে। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহজালাল সরকার, ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম, শিক্ষক, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
সেন্টমার্টিন বিএন স্কুলের শিক্ষক যতিন রায় বলেন, সেন্টমার্টিনে সরকারি উদ্যোগে তেমন কোন আয়োজন হতে দেখিনি। সেখানে ব্যক্তি উদ্যোগে এহেন আয়োজনের প্রশংসার দাবিদার। আরো বড় পরিসরে এমন আয়োজন হোক।


অধ্যক্ষ শাহজালাল সরকার বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠেকাতে বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই। সেন্টমার্টিনে এমন আয়োজন ব্যক্তি উদ্যোগে এই প্রথম। পরিবেশ রক্ষায় এমন আয়োজন সুন্দর ভাবনা।
ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম বলেন, সাগর লতা গাছ দ্বীপের বালিয়াড়ি বাড়াতে সাহায্য করে। যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। সেন্টমার্টিনে সাগরলতার শিকড় আঁকড়ে বাড়বে ভূমি। তিনি আরো বলেন, আজকের শিশু কিশোররাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই এই স্কুল বেছে নিয়ে শিশুদের হাতে গাছ তুলে দিলাম। তারা নিজেরাই এই গাছ রোপণ করেছে। প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে গাছের যতœ তারাই নেবে।


ঢাকা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনের সময় ডা. নাঈমের কাজ দেখেছি। তিনি চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবেশ, প্রকৃতি, বৃক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন গত এক যুগ। কুমিল্লার অনলাইন ভিত্তিক ছাদকৃষি, বাগান ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা । সেন্টমার্টিনে তার গাছ লাগানোর উৎসব প্রশংসার দাবি রাখে।
উল্লেখ্য- ডা. নাঈম বিনামূল্যে বীজ, কাটিং,চারা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ রোপণ, পরিবেশ সচেতনতায় জনমত তৈরি করা, দেশে নতুন বাগানী সৃজন তার নেশা। পাশাপাশি বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদ সংরক্ষণের নেশায় বাড়িতে গড়ে তুলেছেন সুবিশাল সংগ্রহ।