কুমিল্লায় অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ

অফিস রিপোর্টার
ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কচুয়া চৌমুহনী এলাকায় কুমিল্লা – নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বিক্ষোভ করেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। বুধবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ চলে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন চালকরা।
বিক্ষোভরত চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ তাদের চাহিদা মতো চাঁদা না পেলে অটোরিকশাগুলো ধরে মামলা দিয়ে পুলিশ লাইনে রেখে দেয়। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে বুধবার তারা বিক্ষোভ করে।
চালকরা জানান, কুমিল্লা নগরীতে সহস্রাধিক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে। এসব অটোরিকশা ট্রাফিক পুলিশের দেয়া টোকেন ছাড়া চলাচল করতে পারে না। নগরীর সড়কগুলোতে অটোরিকশা চলাচল করলে প্রতি মাসে ১২শ টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিলে চালকরা একটি টোকেন পান। এই টোকেন থাকলে ট্রাফিক পুলিশ সড়কে কোন ঝামেলা করে না। টোকেন সংগ্রহ না করায় ট্রাফিক পুলিশ আমাদের সিএনজি ধরে মামলা দিয়ে পুলিশ লাইনে নিয়ে গেছে। বহু দিন ধরে এমন চলছে। আর না পেরে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাফিক পরিদর্শক এমদাদুল হক জানান, মূলত আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিলো নগরীর যানজট নিরসনে কান্দিরপাড়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডটি বন্ধ করতে হবে। কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি। এ কারণে চালকরা বিক্ষোভ করছে। চাঁদাবাজি কিংবা টোকেন মূল বিষয় নয়, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদেরকে ধরে ট্রাফিক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, আমরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের আশ্বস্ত করেছি যদি তাদের বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও ট্রাফিক পুলিশ হয়রানি করে সেক্ষেত্রে পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে বিষয়টি যথাযথভাবে তুলে ধরতে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু বলেন, আমরা সিএনজি অটোরিকশা চালক, মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে নগরীর টাউনহলে বসে সিদ্ধান্ত নেবো। যদি আমরা ট্রাফিক পুলিশ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাই সেক্ষেত্রে আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে এ বিষয়ে সুরাহা প্রত্যাশা করবো। এ কথা শুনে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা বিক্ষোভ থেকে সরে আসে।