কুমিল্লায় ক্লিনার অ্যাম্বুলেন্স চালক ফার্মাসিস্ট ছাড়া চলেছে সরকারি হাসপাতাল

 

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এটি ৩১ শয্যার হাসপাতাল। ৪০ বছরের হাসপাতালটি জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটে ধুঁকছে। ক্লিনার, অ্যাম্বুলেন্স চালক, ফার্মাসিস্ট ও স্টোর কিপার ছাড়া হাসপাতালটি চলছে। নেই এক্স-রে মেশিন,ডেন্টাল চেয়ার ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। বাইরে থেকে অস্থায়ী তিনজন লোককে চিকিৎসকরা চাঁদা দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করান।

সূত্র জানায়,দুই লক্ষাধিক মানুষের আবাস এই উপজেলায়। ৩১ শয্যার হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী তাকে প্রায় সময়। আউট ডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন তিন শতাধিক রোগী। এতো রোগীর মাঝে যেখানে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন সেখানে ১২জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার মধ্যে দুইজন কনসালটেন্ট ও একজন মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। ২য় শ্রেণীর ২৪ জনের মধ্যে চারজনের পদ খালি। ৩য় শ্রেণীর ১০জনের মধ্যে আটজনের পদ খালি। ৪র্থ শ্রেণীর ২৪জনের মধ্যে আছে মাত্র আটজন।

ব্রাহ্মণপাড়া সদরের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন,এই হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন,ডেন্টাল চেয়ার ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন নেই। দুই লক্ষাধিক মানুষের আবাস এই উপজেলায় ৩১ শয্যার হাসপাতাল পর্যাপ্ত নয়। এই হাসপাতালের বেড ও জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। যন্ত্রপাতির সংকট দূরের দাবি জানাচ্ছি।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন জানান, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংকট প্রকট। বিশেষ করে কোন ক্লিনার নেই। অস্থায়ী তিনজন লোককে মাসে দুই হাজার টাকা ও প্রতিদিন দুই বেলা খাবার দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। চিকিৎসকরা চাঁদা করে তাদের সম্মানী দেন। এক্স-রে মেশিন কেনা হয়েছে।

আশা করি সহসা বসাতে পারবো। ডেন্টাল চেয়ার ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন বসানোর চেষ্টা করছি। অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই দীর্ঘদিন। আমার গাড়ির চালককে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালানো হচ্ছে। ৩১ শয্যা এখানে পর্যাপ্ত নয়, শয্যা সংখ্যা ৫০এ উন্নীত করার জন্য আবেদন জানিয়েছি।