কুমিল্লায় ক্ষুদ্র কোরআনের প্রাচীন কপির সন্ধান
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লায় ক্ষুদ্র আকারের পবিত্র কোরআন শরিফের প্রাচীন কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। দাবি করা হচ্ছে,এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ। এটি বংশ পরম্পরায় সংরক্ষিত আছে কুমিল্লা নগরীর তালপুকুর এলাকার বাসিন্দা জামিল আহমেদ খন্দকারের নিকট। পেশায় তিনি পরিবহন ব্যবসায়ী। কোরআন শরিফটির দৈর্ঘ্য দেড় ইঞ্চি,প্রস্থ এক ইঞ্চি। উচ্চতা এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ। ছাপার অক্ষরের কোরআন শরীফটি খালি চোখে পড়া কঠিন। এটি আতসী কাচের নিচে রেখে পড়া যাবে।
জামিল আহমেদ খন্দকার জানান,তার পূর্ব পুরুষরা ইয়েমেন থেকে ধর্ম প্রচার করতে এদেশে আসেন। তারা সাথে কোরআন শরিফটি নিয়ে আসতে পারেন বলে ধারণা করছি। এটির বাইন্ডিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোরআনটি বংশ পরম্পরায় তার হাতে এসেছে। তার ২১ বছর বয়সে বাবা আবদুল মতিন খন্দকার মারা যান। তাই তিনি কোরআন শরীফটি সম্পর্কে জানতে পারেননি। অনেকদিন এটা কোথায় ছিলো তা তিনি জানতেন না। সম্প্রতি আলমারিতে এটির খোঁজ পান।
ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবির বলেন, জামিল আহমেদ খন্দকারদের পূর্ব পুরুষরা ইয়েমেন থেকে ধর্ম প্রচার করতে এদেশে আসেন এটা সঠিক। তবে তারা ১৩০৩ সালে হযরত শাহজালালের সাথে এসেছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। আরো কয়েকশ’ বছর পরেও আসতে পারেন। তবে কোরআন শরীফটির বয়স তিনশ’ বছরের বেশি হবে। এটি দেশের অন্যতম ক্ষুদ্র প্রাচীন কোরআন শরিফ বলে ধারণা করছি। তবে হস্তবিদরা এটির বয়স সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবেন।
ইসলামি ইতিহাস গবেষক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশে ক্ষুদ্র সাইজের কোরআন শরিফ ছাপা বা লেখা হতো না। এগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। দুই শত বছর আগে পাকিস্তানের পেশোয়ারে ক্ষুদ্র কোরআন শরীফ ছাপা হতো। সেখানের লোকজন পবিত্রতার স্মারক স্বরূপ ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ পকেটে রাখতো।