নিজের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রধান শিক্ষক, যাননি অতিথিরা

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান নিজের বিদায় অনুষ্ঠান তিনিই আয়োজন করেছেন। এদিকে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে প্রায় ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মঙ্গলবার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাননি আমন্ত্রিত অতিথিরা। কামরুজ্জামান উপজেলার তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আ’লীগের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্র মতে, ২০১৯ সালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আভ্যন্তরীণ এক নিরীক্ষায় ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। পরে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের মধ্যস্থতায় ৪ কিস্তিতে বিদ্যালয়কে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ শর্তে রফাদফা হয়। এরপর কামরুজ্জামান বিদ্যালয় তহবিলে ২ কিস্তি পরিষদের পর ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হলে তিনি আর টাকা জমা দেননি। এদিকে বর্তমান পরিচালনা কমিটি ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭৮১ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পান। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহআলম মজুমদার গত ৩০ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামানকে নিরীক্ষা কপিসহ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ প্রদানের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি এর কোন জবাব দেননি। বরং তড়িগড়ি করে নিজ উদ্যোগে মঙ্গলবার নিজের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ইউএনও, শিক্ষা অফিসার ও সভাপতির নাম রাখা হয় ব্যানারে। তবে ব্যানারে উল্লেখিত কোন অতিথি এবং সভাপতি বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন না।
অভিযুক্ত তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি আর্থিক যে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে তা প্রমাণ করতে পারবে না।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম মজুমদার বলেন, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রধান শিক্ষক নিজেই নিজের সংবর্ধনার আয়োজন করেন। তাছাড়া আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তাই, প্রধান শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দেয়ার প্রশ্নই আসে না।’
