কুমিল্লায় জনপ্রিয় হচ্ছে ড্রাগন চাষ

 

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লায় জনপ্রিয় হচ্ছে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ। কুমিল্লার কয়েকটি উপজেলার মধ্যে দেবিদ্বারে পাঁচটি গ্রামে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেবিদ্বার উপজেলার ছেপাড়া গ্রাম। এখানে দুই বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করেন তরুণ উদ্যোক্তা আবুল ফয়েজ মুন্সী। ওই এলাকায় তিনি প্রথম ড্রাগন ফলের চাষ করেন। ড্রাগনের বাগান দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন মানুষ। তিনি প্রাথমিক কিছু ফল বিক্রিও করেছেন। এখন কিছু গাছে ফল ধরেছে। কিছু গাছে ফুল এসেছে। ফল গুলো সপ্তাহের মধ্যে পরিপক্ক হবে।

সরেজমিন সোমবার ছেপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,দুই ভাগে ড্রাগন চাষ করেছেন কৃষক। একটা সড়কের পাশে উঁচু জমিতে। অন্যটা মাঠের মাঝে। অনেকটা ক্যাকটাসের মতো এই গাছ। সিমেন্টের পিলার ও রড-টায়ারের মাছায় ঝুলানো হয়েছে গাছ। হালকা বাতাসে দুলছে ড্রাগনের ফুল ও ফল।

আবুল ফয়েজ মুন্সী জানান,তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করেছেন। চাকরি তাকে টানে না। তাই পৈত্রিক জমিতে কৃষি কাজ শুরু করেন। তিনি ড্রাগন,কলা, কুল ও ত্বীন ফল চাষ করছেন। ইউটিউব দেখে তিনি ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন। দুই বিঘা জমিতে ড্রাগনের গাছ লাগিয়েছেন। খরচ হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ। এই মাচা ও গাছ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ফল আসবে। দুই বছরে তার পুঁজি ওঠে যাবে বলে তিনি আশা করেন।

দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান বলেন,দেবিদ্বারের ওয়াহেদপুর,মোহাম্মদপুর,ইউসুফপুর মধ্যপাড়া,সাইতলা,ছেপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। কয়েকটিতে ভালো ফলন হয়েছে। আমরা তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ড্রাগন অনেক পুষ্টিকর ফল। এটাকে নিউট্রাল ফলও বলা হয়। সব শারীরিক সমস্যায় এই ফল খাওয়া যায়। কুমিল্লার মাটি এই ফল চাষের উপযোগী। বিশেষ করে যেখানে পানি জমে না সেখানে ড্রাগন চাষ করা যায়। দেবিদ্বার ছাড়া বড় পরিসরে চান্দিনা,বরুড়া, লালমাই ও সদর দক্ষিণে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় অল্প পরিসরে চাষ হচ্ছে।