কুমিল্লা কারাগারে কেমন আছেন পাপিয়া!

 

আবদুল্লাহ আল মারুফ ।।
যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা কমিটির বহিস্কৃত সাধারণ শামীমা নূর পাপিয়াকে গাজীপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে আনা হয়েছে। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় তাকে প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ- আল- মামুন।

কুমিল্লা কারাগারের একটি সূত্র বলছে, রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা কারাগারের আনার পর তাকে কারাগারের নারী ওয়ার্ডে রাখা হয়। কুমিল্লা কারাগারে দুইটি নারী ওয়ার্ড। ছোটটিতে গর্ভবতী ও সন্তানসহ নারী হাজতিদের রাখা হয়। বড়টিতে রাখা হয় অন্য নারী হাজতিদের। সেখানে ২০-৫০ জন কয়েদি থাকেন। এই ওয়ার্ডেই তিনি রাত পার করেন। অন্যসব কয়েদিদের সঙ্গেই তাকে রাখা হয়েছে। অন্য সবার মত তার খাবার, ঘুমানোসহ সকল ব্যবস্থা একই নিয়মে। এখানে আসার পর এখনও কোন দায়িত্ব পাননি পাপিয়া। তবে শিগগিরই তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে। এছাড়াও পাপিয়াকে কারাগারে বিশেষ নজরে রাখা হবে, যেন আর কোন ঘটনার অভিযোগ না উঠে।

কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ- আল- মামুন বলেন, ওই কয়েদিকে রাতে আনা হয়েছে। জেলবিধি অনুযায়ী তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে। তবে গতকাল মাত্র এসেছে। আমরা অন্য কয়েদিদের সঙ্গেই তাকে রেখেছি। তাকে বিশেষ নজরে রাখা হবে।

উল্লেখ্য- ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এদিকে নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিস আইনজীবী রুনাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর তার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে সাত হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।

এক পর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে কেস টেবিল বা সালিশ বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদও করতে পারেনি।