কুমিল্লা টাউন হল নিয়ে গণশুনানি, মানববন্ধন

 

কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন (টাউন হল) পুরার্কীর্তি হবে কি হবে না, এনিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টাউন হল মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ওই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টাউন হল নিয়ে গঠিত কমিটির আহবায়ক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.আবদুল মান্নান ইলিয়াস। এ সময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো.আবুল ফজল মীরসহ ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে বিভিন্ন সংগঠনের অন্তত ৩০ জন মতামত দেন। মতামত বক্সে ও ই-মেইলে সকলের মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিলো। এদিকে টাউন হলের আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ভবন চাই এমন দাবিতে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কান্দিরপাড়ের চারদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে।

গল গণশুনানিতে সর্বশেষ বক্তব্য দেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি বলেন, কুমিল্লার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র চলছে। অনেক চক্রান্ত হয়েছে, এরপরও আমি কুমিল্লাকে এগিয়ে নিচ্ছি। খুনি মোশতাকের উত্তরসূরীরা কুমিল্লার উন্নয়ন চায় না। এই টাউন হল পুরার্কীর্তিতে যাবার কোন সুযোগ নেই। এখানে আধুনিক টাউন হল নির্মাণ হবেই।
সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.আবদুল মান্নান ইলিয়াস বলেন, আমরা মানুষের মতামতের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেব। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, ১৮৮৫ ত্রিপুরার মহারাজ বীর চন্দ্র মানিক্য কুমিল্লা গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন প্রতিষ্ঠা করেন। চলতি বছরের গত ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় টাউন হল ভেঙ্গে সেখানে আধুনিক টাউন হল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। গণমাধ্যমে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পরে বর্তমান ভবনটি পুরার্কীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন দেশের ৫০ জন বুদ্ধিজীবী। এনিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.আবদুল মান্নান ইলিয়াসকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।