কুমিল্লা নগরীতে ৬শতাধিক অবৈধ স্থাপনা

আমোদ প্রতিনিধি
কুমিল্লা নগরীতে ৬শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। সম্প্রতি আমরা পুনরায় জরিপ করেছি। এই সংখ্যা আরো বাড়বে। অবৈধ ভবন গুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোমবার বিকেলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অংশীজনের অংশগ্রহণের বিষয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অতীন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে সেবা প্রদান বিষয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, নগরজুড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো ভাঙ্গা জরুরি। না হয় মানুষের কাছে ম্যাসেজ যাবে না। তারা মনে করবে আইন ভাঙ্গলে কিছু হয় না। নিয়মবহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শহরজুড়ে যে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে- এ বার্তা আমরা পেয়েছি। মেয়র-কাউন্সিলরগণ চাইলে অবৈধ স্ট্যান্ড থাকবে না। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত পরিষদ চাইলে পরিবর্তন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, কুমিল্লা নগরীকে সুশৃঙ্খল ও বাসযোগ্য করতে সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। আইন না মেনে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, যত্রতত্র গড়ে উঠা অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড বন্ধ করা, যানজট নিরসনে সড়কগুলো প্রশ^স্তকরণ ও পানি অপসারণের জন্য ড্রেনগুলো সঠিকভাবে সংস্কার করতে হবে। এছাড়া নগর উদ্যানের দোকান অপসারণ করতে হবে। না হলে কুমিল্লা নগরী হয়ে পড়বে বসবাসের অযোগ্য।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূইয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জহিরুল হক দুলাল, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন কুমিল্লার সভাপতি আলহাজ্ব শাহ মোঃ আলমগীর খান, ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু, বাপা কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম ও নারী নেত্রী পাপড়ি বসু প্রমুখ।