কুমিল্লা নিউ মার্কেটের সামনে সড়ক দখল, যানজট-ভোগান্তি

আবদুল্লাহ আল মারুফ 
কুমিল্লা নগরীতে যানজট দিন দিন বাড়ছে। তবে এই যানজটের বেশিরভাগই কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা। যার একটি সড়ক দখল করা। বর্তমান সময়ে কুমিল্লার নিউ মার্কেট শপিংমল নগরীর যানজট সৃষ্টি করার এক অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, নিউ মার্কেট কুমিল্লা নগরীর কেন্দ্রস্থল কান্দিরপাড়ের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। মার্কেটের সামনে দিয়ে গেছে আদালত ও কাপ্তান বাজার সড়ক। এই সড়কের অর্ধেক পরিমাণ জায়গা কায়দা করে দখল নিয়েছে নিউ মার্কেট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিউ মার্কেটের সামনের অংশে সড়কের একফুট পরিমাণ জায়গা বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে করে নিউ মার্কেটের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের গাড়ি রাখা হয় সড়কে ঠিক ওপরে। সড়কের ওপরে রাখায় সড়কের আরও বেশ কিছু অংশ দখল হয়ে যায়। যখন কেউ এই স্থান থেকে গাড়ি বের করেন তখন সড়কের একপাশ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। যা সারাদিন ক্রমান্বয়ে চলতেই থাকে।
জানা গেছে, নিউ মার্কেটসহ কুমিল্লার বেশিরভাগ শপিংমল ও আবাসিক ভবনের পার্কিং ব্যবস্থা নেই। যে কারণে বেশিরভাগ সময় সড়ক দখল করে গাড়ি রাখা হয়। কিছু ভবনে পার্কিং ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে পর্যাপ্ত গাড়ি রাখার যায়গা নেই।
কুমিল্লার নিউ মার্কেট এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করা অন্তত ১০ জন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিউ মার্কেট এলাকার যানজট সৃষ্টির মূল কারণ সড়ক দখল। কেউ এর বিরুদ্ধে কথা বলেন না তাই এই দখলদাররা সড়কটিকে মুক্ত করছেন না। নিউ মার্কেটের এই সড়কটি যদি দখলমুক্ত করা হয় এবং এই সড়কের ফুটপাত যদি দখল মুক্ত করা হয় তাহলে কুমিল্লার যানজটের অন্তত ২৫ শতাংশ কমে যাবে।
এ বিষয়ে নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নতুন কমিটি হয়েছে। আমি এখন দায়িত্বে নাই। কিন্তু মানতে হবে যে সড়ক কিছুটা দখলে আছে। কিন্তু এটা আমাদের দখল নয়। সাধারণ যারা বাইক নিয়ে আসেন তারা দখল করছেন। আমরা যদি পার্কিং ব্যবস্থা মার্কেটের সামনেই করি তাহলে দেখা যায় নিউ মার্কেটে ক্রেতার ঢোকার জায়গা থাকেনা। তাই নিউ মার্কেটের সামনের জায়গায় যেন বাইকসহ যানবাহন না রেখে পার্কিং-এ রাখেন, সেজন্যই বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। কিন্তু তারা বিশ টাকা খরচ করে পার্কিং-এ না রেখে ওমক ভাই তোমক ভাইয়ের লোক পরিচয় দিয়ে রাস্তার ওপরে রেখে চলে যান। যদি সিকিউরিটি গার্ড কিছু বলে তাহলে গার্ডকে মারধর করে। তাই আমাদের এখানে মার খাওয়ার ভয়ে কেউ চাকরিও করে না।
এদিকে নিউ মার্কেটের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, আমরা নতুন কমিটিতে এসেছি। বিষয়টি চোখে পড়েছে। আমাদের প্রথম সভাতেই এর একটা ব্যবস্থা হবে।
কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ রাসেল ভূঁইয়া বলেন, আমরা একাধিকবার তাদের বলেছি যেন সড়কটা দখল মুক্ত করেন। আমরা কয়েকবার বাঁশটা সরিয়েও দিয়েছি। কিন্তু আমরা চলে যাওয়ার পর তারা আবার বাঁশটা লাগিয়ে দেন। আমরা শিগগিরই তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।
 কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, যদি সড়ক দখলে থাকে আমরা অবশ্যই তাহলে ব্যবস্থা নেব।