কুমিল্লা সিটি মেয়রের জানাযায় মানুষের ঢল

 

আমোদ প্রতিনিধি।

হাতে ফুলের ঢালা চোখে জল নিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাতকে শেষবারের শ্রদ্ধ জানালো নগরবাসী। জুম্মার নামাজের পর কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে সব পেশা শ্রেনীর মানুষের ঢল নামে। পরে টমসমব্রীজ কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

 


এর আগে শুক্রবার দিবাগত ভোর ৪ টায় সিঙ্গাপুর থেকে নিজ বাসভবনে নিয়ে আসা হয় মরদেহটি। সকাল ৯ টায় সিটি কর্পোরেশনে মরদেহটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের মেয়রকে শেষবারের শ্রদ্ধা জানান।

পরে মরদেহটি নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর কান্দিরপাড়স্থ মহানগর আওয়াম লীগ কার্যালয়ে। সেখানে নেয়ার পর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার প্রথমে ফুলের ঢালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পার্টি অফিসে আগে থেকে হাজির হওয়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সহ¯্রাধিক কর্মীরা দীর্ঘদিনের প্রিয় নেতাকে হারিয়ে শোকে বিহব্বল হয়ে পড়েন। এ সময় সকল শ্রেনী পেশার মানুষজন উপস্থিত হয়ে শেষবারের মত শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


৬৫ বছর বয়সী আরফানুল হক রিফাত দীর্ঘদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। গেলো ২০২২ সালের ১৬ জুন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মনিরুল হক সাক্কুকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিলঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মনিরুল হক (সাক্কু) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
মেয়র হিসেবে দালিত্ব গ্রহণের পর আরফানুল হক রিফাত কুমিল্লা নগরীর যানজট নিরসন, ফুটপাত দখলমুক্তকরণ ও সড়ক প্রশস্থ করার মত বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যা নগরবাসীর কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়।