কোম্পানীগঞ্জ -নবীনগর সড়ক; ঝুঁকিপূর্ণ ৭টি বেইলি ব্রিজ,দুর্ভোগে দুই উপজেলাবাসী

 

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সড়কের ৭টি বেইলি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজগুলোতে সারা বছরই ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো পাটাতন সরে ফাঁকা জায়গায় চাকা ঢুকে গাড়ি উল্টে যায়, কখনো বাইসাইকেল, মটর সাইকেলের চাকা আটকে যায় ও মানুষের পা ঢুকে পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ গুলো হচ্ছে,দৌলতপুর নজরুল গেইট, সীমানারপাড়, মুকলিশপুর, কোড়েরপাড়, মেটংঘর ও পীরকাশিমপুর গ্রামে দুইটি ব্রিজ। এদিকে ১৩মে বিকালে এই সড়কের কড়বাড়ি ব্রিজ ভেঙ্গে ট্রাক ও সিএনজি অটো রিকশা খালে পড়ে যায়। এতে ৬জন যাত্রী আহত হন। ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মুরাদনগর ও নবীনগর উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

সড়ক বিভাগ, যাত্রী ও চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রিজগুলো অনেক দিন যাবত জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে। বৃষ্টি হলে হয়ে উঠে আরো ভংকর। ট্রাক্টর, সিএনজি চালিত অটোরিকশা পড়ে গিয়ে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। বেশি ওজনের ট্রাক যাওয়ার সময় পাটাতন দেবে গিয়ে কাত হয়ে উল্টে পড়ে। পুরানো এই ব্রিজগুলোর স্থানে নতুন পাকা ব্রিজ স্থাপনের দাবি জানান তারা।

মুরাদনগর হায়দরাবাদ হাজী ইয়াকুব আলী ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদুজ্জামান বাবু বলেন,তিনি এই সড়কে চলাচল করেন। ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায়ই চলাচলে দুর্ভোগে পড়েন। কড়ইবাড়ি ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনি ৮কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় বাঙ্গরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, এই সড়কের বেইলি ব্রিজগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে মকলিশপুর ব্রিজটির অবস্থা বেশি খারাপ। ব্রিজটিতে কাঠের টুকরা দিয়ে ঠেস দেয়া হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে পাশের পাটাতন। যেকোন মুহূর্তে এটি ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর রুটের বেইলি ব্রিজগুলোর স্থানে পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য আমরা আগামী মাসে প্রস্তাবনা জমা দেবো। পর্যায়ক্রমে বেইলি ব্রিজ গুলো সরিয়ে ফেলা হবে। তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত ওজন নিয়ে পরিবহন গুলো নিয়মমাফিক পারাপার হলে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়না। এবিষয়ে সবার সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।