খোঁপায় গাঁদা ফুল,স্টলে দুধরাজ!

৩০হাজার শিক্ষার্থীর ফাগুন উৎসবে রঙিন ভিক্টোরিয়া ক্যাম্পাস

অফিস রিপোর্টার।।
ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। ডিগ্রি শাখার খেলার মাঠ। সেখানে বসে ৩০হাজার শিক্ষার্থীর ফাগুন বরণ উপলক্ষে পিঠা উৎসব। বর্ণিল পিঠা আর শিক্ষার্থীদের বসন্ত সাজে রঙিন হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। খেলার মাঠে বৃহস্পতিবারের এই আয়োজনে স্থান পায় ২৮টি স্টল। বাতাসে পিঠার মিষ্টি গন্ধ।


আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, কলেজের ২২টি বিভাগ, কলেজের সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন মিলিয়ে স্টল গুলো বসিয়েছে। এতে শত রকমের পিঠার প্রদর্শনী করে শিক্ষার্থীরা। এর মাঝে রয়েছে ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, দুধ চিতই, বিবিখানা, চুটকি, চাপড়ি, ক্ষীর কুলি, গোকুল, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গলতিকা, রসফুল, জামদানি, ঝালপোয়া, ঝিনুক, নকশি, চাঁদ পাকান, ছিট, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, পানতোয়া, মালপোয়া, মালাই, মুঠি, কলা পিঠা, তেলপোয়া, দুধরাজ, ফুল ঝুরি, ফুল পিঠা, বিবিয়ানা, গোলাপ পিঠা, সেমাই পিঠা, জামাই পিঠা।


সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,খেলার মাঠ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে গমগম করছে। নতুন পিঠার স্বাদ নিতে বিভিন্ন স্টলে দেখা গেল উপচেপড়া ভিড়। এসব পিঠার স্টল ঘুরে দেখেন কলেজ প্রফেসর অধ্যক্ষ ড.আবু জাফর খানসহ শিক্ষক পরিষদ নেতারা। মাঠের উত্তর পাশে মঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছাত্রীদের ফুলেল সাজে মনে হবে খেলার মাঠ যেন ফুল বাগান। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের লুঙ্গি পরে,মাথায় গামছা বেঁধে মিছিল দিতে দেখা যায়। ‘সবার সেরা বাংলা বিভাগ।’ ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্টলে লেখা-‘খাইয়া কন কেডা সেরা?’


কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শিহাব হাসান, এনামুল হক বিজয়, নাজনীন তাহুরা, উম্মে হাবিবা মজুমদার, নাজমুল হাসান জানান, পিঠা উৎসব উদযাপন করতে আমরা তিনদিন ধরে কাজ করছি। রাত জেগে পিঠা বানিয়ে আর স্টল বানিয়ে আমরা উৎসবে নতুনত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছি।


বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন করাই আমাদের কাম্য। আমাদের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পিঠা উৎসব করছে এটা আমাদের কাছেও আনন্দের।
কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোকসানা পারভীন বলেন, শিক্ষার্থীরা পিঠা বানিয়ে সেগুলোর সুন্দর সুন্দর নামও দিয়েছে। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনাতেই এগিয়ে নয়। তারা সব কাজেই পারদর্শী।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, শিক্ষার্থীদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ এটি। তারাই আমাদের সংস্কৃতির লালন করবে। প্রত্যেকটা স্টল ঘুরে দেখেছি। তারা চমৎকার সব আয়োজন করেছে।