গাইবান্ধা ৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ

আমোদ ডেস্ক।।

inside post

ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু না থাকায় গাইবান্ধা ৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রদত্ত ক্ষমতা বলে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কমিশন।

 

বিজ্ঞাপন

আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এর আগে অনিয়মের অভিযোগে ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে দুই উপজেলার ১৪৫টি কেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা ছিলো।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাহামুদ হাসান রিপন- নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি থেকে এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু- লাঙ্গল প্রতীক, বিকল্পধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম- কুলা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ- আপেল প্রতীক ও মাহবুবুর রহমান- ট্রাক প্রতীকসহ মোট পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন।

সাঘাটা ও ফুলছড়ি এ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। এতে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২ বুথে ১৪৫ প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে আছেন।

বিজ্ঞাপন

ভোটকেন্দ্র এবং ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য, র‌্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং আনসার ও ভিডিপি নিয়োজিত ছিল। এ ছাড়া সাঘাটা উপজেলায় তিনজন ও ফুলছড়ি উপজেলায় দুজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

বিজ্ঞাপন

সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। এবারই প্রথম এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন