গোমতী চরের মুলা যাচ্ছে জেলার বাইরে
মাহফুজ নান্টু।।
এখন শরতকাল। গোমতীর চর জুড়ে সবুজের সমারোহ। করোনার ধকল কাটিয়ে চরে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবজি চাষিরা। চরজুড়ে এখন মুলা চাষ হচ্ছে। ফলন ভালো হয়েছে। গোমতী চরের মুলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে।
সরেজমিনে বুড়িচং এলাকার বালিখাড়া গোমতীর অংশে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ চরজুড়ে মুলার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা কেউ জমিতে আগাছা পরিস্কার করছেন। কেউবা মুলা সংগ্রহে ব্যস্ত।
নদীর চরে পাইকররা এসেছেন। দরদাম করছেন। মূলা কিনে ট্রাকে তুলছেন। পাইকার আবদুল হালিম জানান, তিনি ৬০ শতক জমির মুলা কিনেছেন ৭০ হাজার টাকা দিয়ে। তার উদ্দেশ্য চট্টগ্রামের বাজার। সেখানে মুলা নেয়া পর্যন্ত আরো ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। মুলা বিক্রি হলে তার মুনাফা হবে অন্তত ৩০ হাজার টাকা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মুলার ফলন ভালো হয়েছে। এমন আবহাওয়া বিরাজ করলে আগামী এক মাসে আবারও মুলা চাষ করতে পারবেন। মুনাফাও ভালো হবে। তবে এ মুহূর্তে চরে হানা দিয়েছে কেঁচোসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ। তা নিয়ে বেশ দুঃচিন্তায় আছেন গোমতী চরের অন্তত পাঁচ শতাধিক সবজি চাষি।
সবজি চাষি লেয়াকত জানান, তিনি গত আড়াই মাসে মুলার দুইবার ফলন পেয়েছেন। এখন তার ১২০ শতক জমিতে মুলা আছে। তবে চরে হঠাৎ কেঁচোর উপদ্রব বেড়েছে। কেঁচো মুলা নষ্ট করে। এত নিয়ে বেশ দুঃচিন্তায় আছেন। এ রকম দুঃচিন্তায় রয়েছেন অন্যসব সবজি চাষিরাও।
কেঁচোসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সপ্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত জানান, কৃষকরা তাদের সমস্যার কথা জানালে আমরা অবশ্যই তা সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমাদের কৃষি উপ-সহকারীরা মাঠে আছেন। তারপরেও আমরা এখন গোমতী চরের সবজি চাষিদের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে দেখবো।