গোয়েন্দা পরিচয়ে অটোরিকশা ছিনতাই, জিপিএস ট্র্যাকে উদ্ধার


প্রতিনিধি।।
র্যাব পরিচয়ে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ছিনতাইকারীসহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা পুলিশ। ১৭ তারিখ কুমিল্লা থেকে রাত ৮ ঘটিকায় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি ওইদিন রাত ১১ ঘটিকায় চৌদ্দগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের সার্কেল এডিশনাল এএসপি খায়রুল জানান, গত ১৫ জুন পদুয়ার বাজার থেকে ভুচ্চি- বাঙ্গড্ডা সড়কে যাত্রী পরিবহন করা সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রীবেশে উঠেন আল মাহফুজ হৃদয়। পথিমধ্যে চালকের সাথে আলাপকালে চালক মনির হোসেনকে র্যাব ১১ কুমিল্লা শাকতলার গোয়েন্দা অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে সরকারি বাহিনীর ডিউটি করেছেন কি না চালকের কাছে জানতে চান। তার মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে নেন। ১৬ তারিখ কল করে চালককে ১৭ তারিখ জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। চালকের সাথে দুই হাজার টাকা ভাড়ায় চুক্তি হয়। ১৭ তারিখ বিকেলে চালক মনির হোসেন জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে আল মাহফুজকে নিয়ে মিয়াবাজার যাওয়ার পথে সুয়াগাজী বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে আল মাহফুজ মোবাইল ফোনে অন্যের সাথে কথা বলে অন্য জায়গায় আকস্মিক অভিযানের কথা বলে গাড়ি ঘুরিয়ে রাজেশপুর ইকোপার্কে নিয়ে যায়। এরপর সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালককে দুটি গামছা দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়।
চালক মনির হোসেন বলেন, বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকারে গাছের সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় আধা ঘন্টা চেষ্টার পর বাঁধন খুলতে সক্ষম হই। পাশ্ববর্তী এক বাড়িতে সাহায্য না পেয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে স্থানীয় একটি বাজারে গিয়ে গাড়ির মালিক আমার বড় ভাইকে কল করে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানাই। আমার ভাই গাড়ির সেল সেন্টারে কল দিলে তারা গাড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে গাড়ির অবস্থান নির্ণয় করে। সাথে সাথে হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিমকে জানালে চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কের ডলি রিসোর্টের সামনে থেকে গাড়িসহ কথিত র্যাবের গোয়েন্দা শাখার অফিসার ছিনতাইকারী আল মাহফুজকে আটক করে তারা।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি সাহাবুদ্দিন জানান, ছিনতাইকারী আল মাহফুজের বিরুদ্ধে রংপুর ও কুমিল্লায় দুটি মামলা রয়েছে। তাকে প্রধান আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।