ঘর থেকে বের করে কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লার চান্দিনায় ঘর থেকে বের করে সালমা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। শনিবার উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার পর মরদেহ পানিতে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। নিহত সালমা আক্তার বসন্তপুর গ্রামের সোলেমান ব্যাপারীর মেয়ে। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সালমা তৃতীয়। সে পাশ্ববর্তী বিল্লাল বাজার কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বসন্তপুর গ্রামের ভূঁইয়া পাড়ার গরু ব্যবসায়ী সোলেমান ব্যাপারী ও তার ভাতিজাদের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ও মামলা চলছে। শনিবার সকালে একই বাড়ির জান্নাত নামের এক মেয়ে সোলেমান ব্যাপারীর ঘরের দরজা ও পিছনের টিন খোলা দেখে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরে কাউকে দেখতে না পেয়ে সোলেমান ব্যাপারীর মোবাইলফোনে কল করে মেয়েটি।
পরে তিনি বাড়িতে এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরবর্তীতে বাড়ি থেকে ৫শ’ গজ দূরে একটি পুকুরে মেয়ের ভাসমান মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন।

সোলেমান ব্যাপারী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ভাতিজাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তারা আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি মারধর করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। শুক্রবার আমি বাড়িতে গেলে তারা আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমি ঘর থেকে বের হলে তারা ১০-১২জন লোক আমার উপর হামলা করতে ঘর ঘিরে ফেলে। আমি প্রাণ ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী বাড়ির আব্দুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই।

সে সময় ঘরে একাই ছিল আমার মেয়ে সালমা। রাতের অন্ধকারে তারা আমার মেয়েকে ঘর থেকে বের করে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয়।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি এবং হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি