চলে গেলেন কুমিল্লা নগরীর সেবক ফরিদ
অফিস রিপোর্টার।।
চলে গেলেন কুমিল্লা নগরীর সেবক হিসেবে পরিচিত ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬০বছর। মস্তিষ্কের ক্যান্সার রোগে তিনি ভুগছিলেন। মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসন্ডা গ্রামে ২য় জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি সকালে নগরীর রেইসকোর্সের বাসায় মারা যান। প্রথম জানাযা দুপুরের নগরীর টাউনহল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার আগে বক্তব্যে নগরীর সুধীজনরা তার বিভিন্ন সেবা কর্মের কথা তুলে ধরেন।
গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্ল¬ার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান, ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসন্ডা গ্রামে। বাবা স্কুল শিক্ষক মৌলভী ইসহাক সিদ্দিকী। তারা চার ভাই দুই বোন। মৃত্যুর আগে বাংলাদেশ অন্ধ কল্যাণ সমিতির কুমিল্লা অফিসে ম্যানেজারের (স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকীর দুই ছেলে। তারা লেখাপড়া করছেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন ভুইয়া বলেন,কুমিল্লা নগরীর কোন মানুষ মারা গেলে তিনি তাদের গোসল, দাফন,সৎকারে নিজ হাতে সহযোগিতা করতেন। কাউকে হাসপাতালে নেয়া, কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শের জন্যও তার ডাক পড়তো। নগরীর অনেকে তাকে আগে বলে রাখতেন, চির বিদায়ের দিন তিনি যেন গোসল দাফনে সহযোগিতা করেন। এসব কারণে তিনি নগরীর প্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কুমিল্লা নগরীর হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ যে ধর্মের মানুষই মারা যান তিনি সেখানে হাজির হতেন। রোগীর সেবায়ও তিনি অনন্য। তাদের মতো মানুষের সংখ্যা বাড়লে সমাজ আরো সুন্দর হবে। তা আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।