চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০

 

আমোদ প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরপরই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত: ১০ জন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা ও মাইক।

মঙ্গলবার দুপুরে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দের পর বিকেলেই পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- ছায়কোট গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে ফুল মিয়া (২২), আলী আরশাদ এর ছেলে আল-আমিন (২৫), কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম এর ছেলে জাহিদ (২০), সাহেব আলীর ছেলে ছাদ্দাম হোসেন (৩০), আবুল হোসেন এর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৫), বুড়িচং উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে আশিকুর রহমান (৩০), মুরাদনগর উপজেলা বাবুটিপাড়া গ্রামের জাকির হোসেরনর মিশু সরকার (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় চান্দিনা পৌরসভার তফসিল ঘোষণার পর বর্তমান কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস ছালাম মনোয়নপত্র জমা দেন। এসময় পৌর আওয়ামী লীগ ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আলী হোসেনও প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দেন। ২৮ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগ ৭নং ওয়ার্ড থেকে আব্দুস ছালামকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেয়। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যহারের জন্য নির্দেশ দেয়। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হন আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন। ৩০ ডিসেম্বর প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর তাদের সমর্থকরা এলাকার মিছিল দেয়।

উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস ছালাম জানান- আমার লোকজন প্রচারণা করার সময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন তাদের প্রতীকের কথা উল্লেখ করে মিছিল দেয়। তার কিছুক্ষণ পর আমার প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা ও মাইক ভাংচুর করলে আমার লোকজন বাঁধা দেয়। এতে আমার লোকজনের উপর হামলা করে। আমার ছেলেসহ কয়েকজন আহত হয়।
ডালিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আলী হোসেন জানান- প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমার লোকজন মিছিল নিয়ে প্রচারণায় গেলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুস ছালামের লোকজন আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ শামস্্উদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।