চালককে হত্যা- লাশ কচুরিপনার নিচে গুম, ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সিএনজি অটোরিকশা চালক ইকতার হোসেনকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর লাশ কচুরিপানার নিচে গুম করা হয়। এই মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায়ে দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার কালাইরকান্দি গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর (৩০), দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের ইমরান (১৮), দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর গ্রামের সুমন (২২) ও দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের রুবেল (২৩)। এতথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিরিক্ত পিপি মোঃ নরুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সিএনজি অটোরিকশা চালক ইকতার হোসেন রাতে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবারের লোকজন। পরদিন দাউদকান্দি থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন, ০২ জন সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইকারীকে স্থানীয় জনগণ গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ছিনতাইকারীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবোদে জানায়, যাত্রী বেশে ওই সিএনজি অটো রিকশাতে উঠে। প্রস্রাবের কথা বলে গাড়িটি থামিয়ে চালক ইকতারকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। তার লাশ কচুরিপানা দিয়ে ডেকে লাশ ঘুম করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া এলাকার জনগণ তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার কালাইরকান্দি গ্রামের আবদুর রহমান বাবুর্চীর ছেলে নিহতের বড়ভাই মোঃ আক্তার হোসেন বাদী হয়ে ৪জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী আইনজীবী অতিঃ পিপি মোঃ নরুল ইসলাম এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবেন। আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট এম. এ আদনান ও অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আক্তার বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবে।

inside post
আরো পড়ুন