চেয়ারম্যান প্রার্থী কেউ পেয়েছেন ১৬ কেউ ১৭ ভোট!

কুমিল্লার এক ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ১৪ জন প্রার্থী। জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৩নং চান্দলা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। চতুর্থধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে ১৮ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২ ভোটের ব্যবধানে ২৭১৮ ভোট বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত কাপপিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মোস্তবা আলী পেয়েছেন ২৭১৬ ভোট। ৩য় হয়েছেন আব্দুস ছাত্তার সরকার (দুটি পাতা) ২৩৫৪ ভোট। ৪র্থ মোঃ আনোয়ার হোসেন (অটোরিক্সা) ১৮৭৩ ভোট। এছাড়া অন্যদের কেউ পেয়েছেন ১৬ ভোট কেউবা পেয়েছেন ১৭ ভোট! ১৪ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দুলাল তালুকদার।
তিনি জানান, জামানত হারানো ১৪ প্রার্থী হলেন ঢোল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রতীকের বাছির আহমেদ পেয়েছেন ১৬ ভোট, মোসাঃ আলেয়া বেগম দোয়াত কলমে পেয়েছেন ৫৭ ভোট, ঘোড়া প্রতীকে আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৮৫, টেলিফোন প্রতীকে মোঃ ইসরাফিল ভূইয়া পেয়েছেন ৩০৮ ভোট, টেবিল ফ্যান প্রতীকে মোঃ শাহিনুল আলম পেয়েছেন ১৭ ভোট, গোলাম ছারোয়ার ভুইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯, সাদেকুর রহমান রজনীগন্ধা প্রতীকে পেয়েছেন ২৭, আলাউদ্দিন ব্যাটারি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩৭ ভোট, জসিম উদ্দিন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ভোট, সফিক ভুইয়া ইসলামী আন্দোলনে দলের হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ ভোট, বিল্লাল হোসেন গিটার প্রতীকে পেয়েছেন ২৮৩ ভোট, রফিকুল ইসলাম রেডিও প্রতীকে ৮৪ ভোট, সুলতান আহমেদ খান মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৩ ভোট, হাবিবুর রহমান টাইপ রাইটার প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ ভোট।
চান্দলা ইউনিয়নের বিজয়ী প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুক বলেন, ১৮ জনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউনিয়নের মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছে। তার জন্য আমি তাদের নিকট কৃতজ্ঞ।
রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আহমেদ জানান, এই ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র ১০টি। মোট ভোটারের সংখ্যা ১৮হাজার ২৯১ভোটার। বৈধ ভোট পড়েছে ১১ হাজার ৯৮৭ ভোট। বাতিল হয়েছে ৩৭২ ভোট। কোন রকম সহিংসতা ছাড়াই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার পর সব প্রার্থীই ঘোষিত ফলাফল মেনে নিয়েছেন।