নগরীতে কমেছে ছাতার কারিগর,কমেনি কদর

 

হাসিবুল ইসলাম সজিব।

আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস জুড়ে বর্ষাকাল। বর্ষা সময় এখন পাল্টে যাচ্ছে, বর্ষাকালের আগে-পরে হচ্ছে অনেক বৃষ্টিপাত হয়। বর্ষার মৌসুমে মানুষের স্বাভাবিক কাজ করতে পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। ঘরের বাইরে যেতে হলে প্রয়োজন ছাতার। সেই ছাতা যদি ব্যবহারের সময় ছেঁড়া কিংবা ভেঙে যায় তখনই সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানের জন্য যেতে হয় ছাতা মেরামতকারী কারিগরদের নিকটে।

শহর ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, চকবাজার, রেল স্টেশন, শাসনগাছা, টমছম ব্রিজ,ইপিজেড গেইট ও পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন লোকালয়ে বর্ষা কিংবা গরমের মৌসুমে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যস্ত সময় করেন ছাতা মেরামতের কারিগররা।

ছাতা কারিগরি শেখ তৈয়ব আলী বলেন, বর্তমানে ছাতার কারিগর কম থাকায় কাজের চাপ বেশি। ৪০ বছর ধরে এ পেশার সাথে যুক্ত রয়েছি। কুমিল্লা শহরের অনেক বছর যাবৎ কাজ করি। বর্ষা কিংবা গরমের মৌসুমে মানুষ ব্যাপক ছাতা ব্যবহার করে। ফলে ফুটা বা ভেঙে যায় অনেক ছাতা। প্রয়োজন হয় ছাতা কারিগরের। তাই প্রতিদিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে বসে ছাতা মেরামত করি। এতে মানুষেও উপকার হয় আমিও আর্থিক ভাবে লাভবান হই।

কাজী জায়ান আহমেদ বলেন, প্রচন্ড রোদ কিংবা বৃষ্টির দিনে ছাতা ছাড়া চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বর্ষার মৌসুমে প্রবল বাতাসে ছাতা উল্টে কিংবা ছিঁড়ে গেলে প্রয়োজন ছাতা কারিগরের।

আবুল কাসেম জানান, চলছে বর্ষার মৌসুম। বাহির হলে প্রয়োজন ছাতার। মাঝে মধ্যে বাতাস ছাতা নষ্ট হয়ে যায়,তখন প্রয়োজন পড়ে ছাতা কারিগরদের।