ছুরি ছেনি দিয়ে কুপিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা

এসএসসি পরীক্ষার্থী ইখতেখার হাসান ইমন(১৮) ছুরি ছেনি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় প্রথম তিনজনসহ মোট চারজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ সিপিসি-২। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার ইখতেখার হাসান ইমন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পিপইয়াকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতার করা হয়, মালাখালা গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে মো. নাছির উদ্দিন ওরফে মুরগা নাছিরকে(৪০), একই গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে ইয়াছিন(২২), বশিরের ছেলে হৃদয়(২৩) এবং নারিকেলতলা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মাইনুদ্দিনকে(১৮)।
র‌্যাব ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দাউদকান্দির মো. নাছির উদ্দিন প্রকাশ মুরগা নাছির(৪০) ও তার সহযোগীদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো ইমনের। বিরোধের কারণ আসামি মো. নাছির উদ্দিন ও তার সহযোগীরা প্রায়ই ইমনকে সময় সুযোগ হলে দেখে নিবে বলে হুমকি দিত। গত ২০ ডিসেম্বর দাউদকান্দি মডেল থানার মোহাম্মদপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের মালাখালা গ্রামের নারিকেলতলা জামে মসজিদের সামনে নারিকেলতলা নূরানী মাদ্রাসার বাৎসরিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার সময় ইমন বাড়ি থেকে বের হয়ে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার সময় সে নিজ এলাকা পিপইয়াকান্দি হতে মালাখালা গ্রামের নারিকেলতলা জামে মসজিদের সামনে ওয়াজস্থলে আসে। নাছির উদ্দিন ও তার সহযোগীরা ইমনের ওপর হামলা করে। নাছির উদ্দিন হাতে থাকা ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে পেছন থেকে ইমনকে পিঠের ডান পাশে আঘাত করে। নাছিরের সহযোগী ইয়াছিন(২২) তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ইমনের বাম হাতের নিচে আঘাত করে। হৃদয়(২৩) ছেনি দিয়ে বাম হাতের ওপরে পোচ দেয় এবং মাইনুদ্দিনসহ (১৮)আরো ২০জন লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে ইমনকে মারধর করে মাটিতে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা ইমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ২০ ডিসেম্বর রাত ১০টার সময় ইমন মারা যায়। ২২ ডিসেম্বর ইমনের চাচা জামাল বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ১২জন এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।