জিওসি’র সঙ্গে নিহত যুবদল নেতার পরিবারের সাক্ষাৎ
প্রতিনিধি ।।
কুমিল্লায় নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও বড় ভাইসহ পরিবারের ৫ সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিকের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
কুমিল্লা সেনানিবাসে জিওসি’র অফিস কক্ষে তারা সাক্ষাৎ করেন।
নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম আজদ টিপু মঙ্গলবার বলেন, সোমবার রাতে তৌহিদের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার, আমার ভগ্নিপতি খান-ই-আলম, ভাগ্নি প্রফেসর মাহবুবা উদ্দিন, সানজিদাসহ আমরা ৫জন দেখা করি। বৈঠকে আমরা অনুরোধ করেছি যারা প্রতারণার মাধ্যমে তৌহিদের বিরুদ্ধে সেনা ক্যাম্পে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তারাসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত সকলকে যেন দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হয়। এ ঘটনায় তারা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
সূত্র জানায়.তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারকে বলেন, ইতিমধ্যেই তদন্ত আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দোষী সাব্যস্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। তৌহিদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে সেনাবাহিনী সব সময় পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য- গত ৩০ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে যৌথবাহিনী পরিচয়ে তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে এমন অভিযোগে তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন গোমতী নদীর পাড় থেকে তাকে উদ্ধার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তৌহিদের মরদেহ পড়ে রয়েছে। এসময় তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।