জ্যোতিঃপাল মহাথের ছিলেন মহামানব– জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

আবু সুফিয়ান রাসেল।। 
পন্ডিত সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের ছিলেন মহামানব। ওনি উচ্চ মানের দর্শন থেকে এ সমাজকে দেখেছেন। তার জীবনবোধ ছিলো। তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। মানুষ আজ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযুদ্ধা মো. মফিজুর রহমান বাবলু এ বক্তব্য রাখেন। বৌদ্ধ ধর্মের সবোর্চ্চ নেতা সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের এর ১১২তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এ বক্তব্য দেন। লাকসামের বরইগাঁও গ্রামে জ্যোতি:পাল মহাথের বৌদ্ধ মহাবিহার কমপ্লেক্স মাঠে এ দুই দিন ব্যাপী আয়োজন করা হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিটি জিনিস সম্পদ। একটি বালি কণাও সম্পদ। দেশের কোন সম্পদ যেনো নষ্ট না হয়, সে দিনে সবাই খেয়াল রাখবেন। এখানে এসে জানতে প্রলাম মহাবিহার কমপ্লেক্সের ছাত্রাবাস বাসবাস যোগ্য না। অনাথ ছেলেরা এখানে থাকে। কখন কোন ঘটনা-দুর্ঘটনা হয়, আপনারা একটা প্রযেক্ট প্রস্তুত করেন। আমি সাথে আছি, কমপ্লেক্সের নতুন ছাত্রাবাস হবে। যখন আমার ক্ষমতা ছিলো না, তখন বিশ লক্ষ টাকা ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখনও যা পারি দেবো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মেজর হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি বাবু নেত্রসেন বড়ুয়া,
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া, প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্বনাগরিক ড. ধর্মকীর্তিমহাথের, আলোচনা করেন সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের মৈত্রী পরিষদের উপদেষ্টা ভদন্ত এস লোকসিৎ মহাথের, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মি. অনির্বাণ বড়ুয়া। উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষাবিদ বাবু সাধন মিত্র সিংহ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী বাবু স্বপন সিংহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্যোতিঃপাল মহাথের মৈত্রী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন সিংহ (মোহন)। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুব্রত সিংহ।
সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের এর ১১২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংঘরাজ জ্যোতি:পাল মহাথের বৌদ্ধ মহাবিহার কমপ্লেক্স প্রঙ্গনে ৫ ও ৬ জানুয়ারি ২০২৩ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে।
৫ জানুয়ারি মৈত্রী সূত্রমাঠ ও সমবেত বন্দনা, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংগঠক, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত। জাতিসংঘ তাকে বিশ্ব নাগরিক উপাধি দেন। তিনি ১৯১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কেমতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লাকসামের বরইগাঁও গ্রামে তার মন্দিরের নাম সংঘরাজ জ্যোতি:পাল মহাথের বৌদ্ধ মহাবিহার কমপ্লেক্স রয়েছে। তিনি বাংলাদশের বৌদ্ধদের ১০তম ধর্মীয় গুরু সংঘরাজ। তিনি ২০০২ সালের ১২ই এপ্রিল মারা যান।