ড্রাগন ফল ও মাল্টা চাষে সফল উদ্যোক্তা

 

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্, (নবীনগর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।।

  বাড়ির আঙিনায় চারদিকে সবুজের সমারোহ। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফল অর মাল্টা ফলের বাগান । বাগানে সবুজ গাছে শোভা পাচ্ছে গোলাপি, লাল আর সবুজ ফলের পরিপাটি এ বাগানটি গড়ে তুলেছেন , ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই গ্রামে ড্রাগন ও মাল্টা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন স্পাইডার গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট বিশিষ্ট শিল্পপতি,ব্রাহ্মণহাতা(নারুই) গ্রামের সন্তান রিপন মিয়া । কয়েক বছর আগেও দেশের মানুষ জানতো ড্রাগন একটি বিদেশি ফল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে এর চাষ এতোটা বেড়েছে যে, এখন এটি দেশি ফল বলেই মানুষের কাছে পরিচিত। তাছাড়াও বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে মাল্টা। এ ফলটি সারা বছরই পাওয়া যায়। শিল্পপতি রিপন মিয়া তিনি বলেন, ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোসেরিয়াস। এটি ক্যাকটাস জাতীয় একটি মিষ্টি ফল। যাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার ও এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ ও আর্থাইটিস রোগ নিরাময়ে দারুণ উপকার করে , পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিনসহ মাল্টার অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে। বহুমুখী পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ বিদেশি এক ফলের নাম ড্রাগন। দক্ষিণ আমেরিকার গভীর অরণ্যে এই ফলের জন্ম হলেও বর্তমানে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, চীন এবং ভারত সহ দিন দিন সাড়া পৃথিবী জুড়ে এই ফলের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও এই পুষ্টিকর ফল ড্রাগনের চাষ দিন দিন বেড়ে চলছে। তাই এই সফলতার দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ড্রাগন চাষ করেছেন স্পাইডার গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মিয়া । ব্রাহ্মণহাতা(নারুই) গ্রাম এলাকায় ৪৫ বিঘা জমিতে ড্রাগন ও মাল্টা ফলের বাগান তৈরি করেছেন , এছাড়াও তার বাবার বসত বাড়ির বাগানে ৬ প্রজাতির ড্রাগন ফল, ৩ প্রজাতির মালটা, ২৬ প্রজাতির দেশি-বিদেশি আম, ২ প্রজাতির কমলা, লেবু, পেঁপে ও লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছের বাগান চাষ করে এলাকায় সকলের নজর কেড়েছে । বাগানে সারিবদ্ধ বারি-১ থাইল্যান্ড জাতের মাল্টা ও বাউ ড্রাগন ফলের গাছে প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ডালে ঝুলে রয়েছে আধাপাকা মাল্টা। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। মাল্টা ও ড্রাগন চাষ করে সফল হয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন স্পাইডার গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মিয়া। তার বাগানে থাকা প্রত্যেক গাছেই ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা অর ড্রাগন ।

সরেজমিনে গিয়ে এই বাগানের শ্রমিকদের নিকট জানা যায় , যে এই বাগানে অনেক বেকার যুবক কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন।  মাল্টা চারা লাগানোর ৩ বছরের মাথায় ফলন আসা শুরু হয়েছে। আমার চাষ করা অধিকাংশ মাল্টা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ী এসে যেমন, নবীনগর উপজেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে বাগান থেকেই ফল কিনে নিয়ে যায়। এই বাগানে ফলের চাহিদাও অনেক।